মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

দক্ষিণ সুরমায় হাবিবের নির্বাচনী সভায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের মধ্যে মারামারি ও ভাংচুর



দক্ষিণ সুরমার দাউদপুর চৌধুরী বাজারে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের নির্বাচনী সভায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ, মারামারি ও ব্যাপক ভাংচুর হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার ২৫ জুন বিকেলে সাড়ে ৫ টায় শাহ দাউদ কমিউনিটি সেন্টারে এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। দাউদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা চলাকালে প্রয়াত সংসদ সদস্য মরহুম মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী’র বলয় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা যুবলীগের সদস্য মনসুর আহমদ চৌধুরী ও হাবিবুর রহমান হাবিবের বলয় দাউদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাহিমুল ইসলাম লিহিনের নেতাকর্মীদের মধ্যে দাওয়া-পাল্টা দাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় এক সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

জানা যায়- সিলেট ৩ দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব সভাস্থলে পৌঁছা মাত্র যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে সেল্ফি তুলা ও স্লোগানকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষের সময় দাউদপুর চৌধুরী বাজারে আতংক ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ীরা দোকান পাঠ বন্ধ করে চলে যান।

স্থানীয়রা জানান- ঘটনার সময় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা কমিউনিটি সেন্টারের গেইট বন্ধ রেখে হাবিবুর রহমান হাবিবকে আটকে রাখেন, পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হওয়ার পর পুলিশী নিরপত্তায় সভাস্থল ত্যাগ করেন এমপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব।

সংসদ নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে হাবিব প্রথমে ৩টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা সম্পন্ন করেন। পর্যাক্রমে নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ হিসেবে তিনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সেই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার দক্ষিণ সুরমার দাউদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে সিলেট ৩ আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

আলাপকালে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা যুবলীগের সদস্য মনসুর আহমদ চৌধুরী বলেন- দুই কর্মীর মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। বড় ধরনের কোন বিশৃঙ্খলা হয়নি।

ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাহিমুল ইসলাম লিহিন বলেন- নৌকার প্রার্থী সভাস্থলে পৌছার পর নেতাকর্মীদের মধ্যে বিশৃঙ্খরা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীর মধ্যস্থতায় বিষয়টি পরে বসে দেখার আশ্বাসের ভিত্তিতে বড় ধরনের কোন বিশৃঙ্খলা হয়নি।

আলাপকালে শাহ-দাউদ কমিনিউটি সেন্টারের মালিক ওয়েছ আহমদ বলেন- মনসুর ও লিহিনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আমার সেন্টারের প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি সেন্টার ভাড়া দিতে চাইনি। সবার অনুরোধে আমি সেন্টার ভাড়া দিয়েছি।

এই বিষয়ে এসএমপি’র মোগলবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দোহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!