প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয় পেলেও গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের কাছে ২৩ রানে হার মানে টাইগার বাহিনী। প্রথমে ব্যাট করা জিম্বাবুয়ের ১৬৬ রানের জবাবে ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে যান মাহমুদুল্লাহরা। ফলে ২৩ রানের এই জয় পায় স্বাগতিকরা। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ৮ উইকেটে। শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৫ জুলাই। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে এখন ১-১ সমতা।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস স্টেডিয়ামে ১৬৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে মাত্র ১৭ রানের মাথায় দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে বাংলাদেশ। নাঈম শেখ ৫ ও সৌম্য সরকার ৮ রান করে দুজনেই ব্লেসিং মুজারাবানির শিকারে পরিণত হন। সেই চাপ মেহেদী হাসান ও সাকিব আল হাসান মিলে সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। দলীয় ৪৫ রানের মাথায় সাকিব আউট হলে আশা ফিকে হয় টাইগার বাহিনীর। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে সাকিব ১০ বলে ২ চারে করেন ১২ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ রিয়াদও ফিরে যান মাত্র ৪ রান করে। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে মাহামুদউল্লাহ বাহিনী।
১৫ রান করে মেহেদী হাসান শিকারে পরিণত হন ওয়েলিংটন মাসাকাদজার। নুরুল হাসান সোহান আগের ম্যাচের ধারাবাহিকতায় এ ম্যাচেও আশা দেখাচ্ছিলেন। দলীয় ৬৮ রানের মাথায় তেন্দাই চাতারার শিকার হন তিনি। অভিষিক্ত শামিম পাটোয়ারির ব্যাটে জয়ের রং দেখছিল বাংলাদেশ। ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ে শামিম হয়তো বুঝাচ্ছিলেন ‘এটা আমারই জায়গা, আমি এভাবেই খেলি।’ কিন্তু সব সম্ভাবনা মিথ্যা করে দিয়ে শামিম আউট হন লুক জংউইয়ের বলে। ফেরার আগে মাত্র ১৩ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান, ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মার। ২৫ বলে আফিফ হোসেন করেন ২৪ রান।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বড় স্কোর সংগ্রহ করতে পারেনি স্বাগতিকরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে। জিবাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ওয়েসলে মেধেভেরে ৫৭ বলে ৭৪ রান করেন। তার ইনিংসে ৫টি চার এবং ৩টি ছক্কার মার রয়েছে। অপর ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ডিওন মায়ার্স ২১ বলে ২৬ রান করেন। টাইগার বোলারদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম ৩টি এবং সাকিব, মেহেদী হাসান উভয়ে একটি করে উইকেট তুলে নেন। জিম্বাবুয়াইন অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন সৌম্য সরকার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৬৬/৬ (মারুমানি ৩, মাধেভেরে ৭৩, চাকাভা ১৪, মায়ার্স ২৬, রাজা ৪, বার্ল ৩৪*, জঙ্গুয়ে ২; তাসকিন ৪-০-২৮-০, মেহেদি ১-০-১১-১, শরিফুল ৪-০-৩৩-৩, সাইফ ৪-০-৩৬-০, সাকিব ৪-০-৩২-১, সৌম্য ২-০-১৬-০, শামীম ১-০-৭-০)।
বাংলাদেশ: ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ (নাঈম ৫, সৌম্য ৮, মেহেদি ১৬, সাকিব ১২, মাহমুদউল্লাহ ৪, আফিফ ২৪, সোহান ৯, শামীম ২৯, সাইফ ১৯, তাসকিন ৫, শরিফুল ০*; রাজা ৩-০-২২-০, চাতারা ৪-০-২৪-২, মুজারাবানি ৪-০-২১-২, মাসাকাদজা ৪-০-২০-৩, জঙ্গুয়ে ৩.৫-০-৩১-৩, মাধেভেরে ১-০-১৬-০,)।
ফল: জিম্বাবুয়ে ২৩ রানে জয়ী।
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা।
ম্যান অব দা ম্যাচ: ওয়েসলি মাধেভেরে।