পানির যিনি স্রষ্টা তাঁর গোঁসা বা রাগ অথবা অভিমান সবকিছু আছে। তিনি পানি দিয়ে যেমন সবকিছু স্বাভাবিক রাখেন আবার কখনো হয়ত বেশি পানি দিয়ে আবার কখনো হয়ত একদম পানি না দিয়েও কোন জাতি অথবা যে কাউকে পরখ করতে পারেন অথবা পতন ঘটাতে পারেন।
আশ্চর্যের বিষয় হল – প্রভুর গোস্বাকে শান্ত করে দিতে পারে বান্দার চোখের পানি।
আরো বিস্ময়কর ব্যাপার হল – পানির যিনি মালিক তিনি ক্বিয়ামাত দিবসে বান্দাকে জিজ্ঞেস করবেন—“আমি তোমার কাছে পানি চেয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে পানি পান করাওনি।”
(সাহীহ মুসলিম,হাদীস নাম্বারঃ ২৫৬৯)
তার মানে হল, পৃথিবীতে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পিপাসিত কাউকে পানি না দিলে স্রষ্টার কাছে হয়ত জিজ্ঞাসিত হতে হবে।
অধিকন্তু, বান্দা, অপর বান্দাকে পানি দিয়ে স্বস্তি দিলে, পানির প্রকৃত মালিকের সন্তোষ লাভ করতে পারে।
মানুষের জীবন যেমন পানি ছাড়া অচল। আবার পানিবন্দি মানুষের জীবনও যেন অচল।
কখনো পানির জন্য মানুষের হাহাকার। আবার কখনো অপার পানি পেয়েও সুপেয় পানির জন্য মানুষের হাহা ধ্বনি।
পানির কারণে অচল করা জীবনও সহজে সচল হতে পারে বান্দার চোখের পানিতে।
আবার, যে কোন ধরণের পানির হাহাকার নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে স্রষ্টার জন্য ঝরানো বান্দার চোখের পানিতে।
তাই, পানির প্রয়োজন। পানি-বন্ধের জন্য চোখের পানি। আর পানিবন্দিদের জন্য পানাহ, পানাহার এবং বিশেষত সুপেয় পানি।
লেখক: মুফতি