পবিত্র রমজান মাসে প্রথমবারের মতো উচ্চস্বরে আজানের ধ্বনি শোনা গেল যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটির মসজিদে। গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সুমধুর সুরের এ ধ্বনি পশ্চিম কুইন্সের আস্টোরিয়াবাসীর মধ্যে তৈরি করে অন্য রকম অনুভূতি। আলজাজিরা মুবাশির সূত্রে জানা যায়, মিসরীয় বংশোদ্ভূত মুনা আল-বাগদাদি ৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। এই দীর্ঘ সময়ে প্রথমবার নিউ ইয়র্ক সিটির কুইন্স আস্টোরিয়ায় আজানের ধ্বনি শুনে অভিভূত হয়ে পড়েন তিনি।
তার মেয়ে রানা আবদুল হামিদ দীর্ঘদিন ধরে উচ্চস্বরে আজানের অনুমতি নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। অবশেষে আস্টোরিয়ার চারটি মসজিদে প্রতিদিন চারবার আজানের অনুমোদন দেওয়া হয়। সাড়ে চার মাস আগে রানা ও অন্যরা মিলে অনুমোদন নেওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। অবশেষে রমজান মাসে তাদের পরিশ্রম সফল হয়।
এক সাক্ষাৎকারে রানা বলেন, নিউ ইয়র্কের মুসলিমরা এমন অনুভূতির আশা করেন, যার মাধ্যমে বোঝা যায় যে তারা মুসলিম এবং তারা নিজ দেশেই বসবাস করছেন। বিশেষত এমন সময়ে, যখন তারা নানা রকম বৈষম্য ও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছেন। আমাদের অনুমোদনের বিষয়টি অন্যান্য এলাকার অনুমোদন গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরো বলেন, আজান শোনার মুহূর্তটি আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রথমে তা শুনে আনন্দে আমি কান্না করেছি। আমি নিউ ইয়র্কে জন্ম নিয়েছি এবং বেড়ে উঠেছি। তাই একজন আমেরিকান মুসলিম হিসেবে আমার অনুভূতি বর্ণনাতীত। তবে এর জন্য আমাকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। আমাদের প্রথম প্রবাসী প্রজন্ম মসজিদ নির্মাণ করে গেছেন। দ্বিতীয় প্রজন্মের দায়িত্ব হলো, মুসলিম হিসেবে নিজেদের মধ্যে গর্বের অনুভূতি তৈরি করা।
রানা নিউ ইয়র্ক মুসলিম নামে একটি সংগঠনের হয়ে কাজ করেন। তিনি এর মাধ্যমে মুসলিমদের সমস্যা ও সংকট সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন এবং তা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করেন। আজানের ইস্যুটিও এর অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সূত্র : আলজাজিরা মুবাশির