আজ ১২ জুন শিশুশ্রম নিরসন দিবস। মানব ও প্রকৃতি কল্যাণধর্মী প্রতিষ্ঠান আনোয়ারা ফাউন্ডেশন থেকে এ দিবসের সাফল্য কামনা করছি। পৃথিবীর দেশে দেশে এ দিবসের প্রতিপাদ্য পৌঁছাক শুরুতে এ কামনা করছি।
পৃথিবীর দেশে দেশে শিশুরা হাসি-আনন্দে শারীরিক মানসিক বিকাশে বেড়ে উঠা জরুরি। এক্ষেত্রে কন্যা শিশু, ছেলে শিশুর বিভেদ টানা যাবে না। মহান ধর্ম ইসলাম শিশু প্রতিপালনে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে। মা বাবাকে কন্যা শিশু প্রতিপালন বিশেষ গুরুত্ব দিতে হযরত মোহাম্মদ (সা.) বিভিন্ন সুসংবাদের মাধ্যমে উৎসাহিত করেছেন। এছাড়া এতিম ও অসহায় শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে ইসলাম সমাজের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে। সে প্রতিপালন অবশ্যই শ্রম ব্যতিরেকে।
শিশুশ্রম কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায়না। অভাব পীড়িত পরিবারে ও গরীব দেশে অনেকেই শিশুশ্রম এর সাথে জড়িত। বেশিরভাগ শিশু নানা কারণে বাধ্য হয়ে শ্রম দেয়। হাটে-মাঠে, কলকারখানায় অনেক শিশুকে শ্রম দিতে দেখা যায়, যখন তাদের পড়ালেখার, খেলাধুলার সময় দেয়ার কথা। আশার কথা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এখন শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে কথাবার্তা উচ্চারিত হচ্ছে। বিভিন্ন দেশ, সংগঠন ও ব্যক্তি শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে কাজ করছে। সর্বোপরি জাতিসংঘ তার সদস্য ভুক্ত দেশসমূহের শিশুদের কল্যাণে নিয়মিত বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। উন্নত দেশসমূহ শিশুশ্রম এর বিরুদ্ধে ইদানীং খুব সোচ্চার। শিশুশ্রমে পরিচালিত কলকারখানা থেকে তারা কোন পণ্য নিতে অনাগ্রহী।
শিশুরা আগামী দিনের কর্ণধার, তারা হাসি-আনন্দে জীবন কাটাক, লেখাপড়া শিখুক, এটা সচেতন ব্যক্তি মাত্রই প্রত্যাশা। ঘরে বাইরে, সারা পৃথিবীর সব শিশু যেন নির্যাতন ও শ্রম থেকে মুক্ত থাকে, তাদের মাধ্যমে আগামীর সুন্দর ও সমৃদ্ধ জাতি, দেশ ও পৃথিবী গড়ে উঠুক, শিশুশ্রম নিরসন দিবসে এই আমাদের প্রত্যাশা।