২০০৫ সালের পর প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরের ফাইনালে খেলার আশা পূরণ হলো না বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমিফাইনালে বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে শনিবার (১ জুলাই) কুয়েতের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের ম্যাচে মধ্যপ্রাচ্যের দলটিকে রুখে দিয়েছিল বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে উভয় দল গোল করতে না পারায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। (১৫+১৫) =৩০ মিনিটে। অতিরিক্ত সময়ের প্রধমার্ধে মানে প্রথম ১৫ মিনিটে গোলের দেখা পায় কুয়েত।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে কুয়েত বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে খেলেছে কুয়েত। একসময় ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ২৪তম স্থানে ছিল। অতিরিক্তি সময়ের ১৫ মিনিটে কুয়েতের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় আব্দুল্লাহ আমারের গোলে কুয়েত ১-০ গোলে এগিয়ে যায়।
অতিরিক্ত সময়ের অবশিষ্ট সময়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধির গোল পরিশোধ করার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। এরফলে ১-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় হ্যাভিয়েনর কাবরেরার শিষ্যদের।
প্রথমার্ধের ২ মিনিটের মাথায় গোল করার সুযোগ পেয়েছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। কুয়েতের গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেনি শেখ মোরসালিন। গোলটি পেলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। প্রথমার্ধ কুয়েতের বিপক্ষে সমানতালে লড়াই করেছে হ্যাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশ সহজ তিনটি সুযোগ হাতছাড়া করেছে। কুয়েত ও দুটো সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকূর দৃঢতায় গোল আদায় করতে পারেনি। যার ফলে প্রথমার্ধের খেলা ০-০ গোলে শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ এবং কুয়েত কোন দলের ফুটবলাররা গোলের দেখা পায়নি।
দুই দলের প্রথম দেখা ১৯৭৩ সালে, মারদেকা কাপের সেই ম্যাচে ২-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। পরে মুখোমুখি ১৯৮৬ সালের এশিয়ান গেমসে, সেবার সঙ্গী হয়েছিল ৪-০ গোলের হারের বিষাদ।
২০০৩ সালে সাফে নিজেদের একমাত্র শিরোপা জেতা বাংলাদেশ সবশেষ ফাইনাল খেলে পরের আসরে, ২০০৫ সালে। দেড় যুগ পর ফের ফাইনালের মঞ্চে ওঠার হাতছানি ছিল। কিন্তু কুয়েতকে কয়েক দফায় কাঁপিয়ে দিয়েও হারকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হলো বাংলাদেশকে।