শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

জিলহজের শুরুতে চুল ও নখ না কাটা – শরিয়তের আলোকে করণীয় ও বার্তা



কোরবানি ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে যারা কোরবানি দেওয়ার নিয়ত করেন, তাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ শরিয়তসম্মত নির্দেশনা রয়েছে, যেগুলো মানলে এই ইবাদতের তাৎপর্য আরও গভীর হয়।

বিশেষত, জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন নিয়ে শরিয়ত বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ইসলামি ফিকাহবিদ ও আলেমরা বলেন, যারা কোরবানি দিতে চান, তাদের জন্য এই দিনগুলোতে চুল ও নখ না কাটা উত্তম ও প্রশংসনীয় আমল।

হাদিসের আলোকে নির্দেশনা

সহিহ মুসলিম শরিফে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন:
“তোমাদের কেউ যদি কোরবানি করার ইচ্ছা করে, তবে সে যেন জিলহজ মাস শুরু হওয়ার পর চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে।”

এই নির্দেশনার ভিত্তিতে অনেক ফিকাহবিদ বলেন, এটি কোনো হারাম কাজ নয়, বরং রাসুল (সা.)-এর সুন্নতের অনুসরণ। ইমাম মালিক (রহ.), ইমাম আহমদ (রহ.) ও ইমাম শাফি (রহ.) এই আমলকে গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। হানাফি মাজহাবের মতে, এটি ‘সুন্নতে মুয়াক্কাদা’—অর্থাৎ পালন করা উত্তম, তবে না করলেও গোনাহ হবে না।

করণীয়:

কোরবানির নিয়ত থাকলে জিলহজের প্রথম দশ দিন চুল ও নখ না কাটা।

অধিক পরিমাণে ইবাদত করা – যেমন, রোজা রাখা, তাসবিহ-তাহলিল-তাহমিদ বলা।

গুনাহ থেকে বিরত থাকা এবং কোরবানির প্রস্তুতি নেওয়া।

বর্জনীয়:

অহেতুক সময় অপচয় করা ও গোনাহের কাজে লিপ্ত হওয়া।

কোরবানির আগে চুল ও নখ কাটা (যদি কোরবানির নিয়ত থাকে)।

কোরবানি সম্পন্ন হওয়ার পর চুল ও নখ কাটা সম্পূর্ণ বৈধ এবং তা স্বাভাবিক নিয়মেই করা যায়। কেউ কেউ বলেন, এই সময় চুল ও নখ না কাটা—আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে—কোরবানির অংশ হিসেবেই প্রতিফলিত হয়।

সুতরাং, কোরবানির ইচ্ছা থাকলে জিলহজের প্রথম দশ দিনে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে এই সুন্নতের অনুসরণ করা এক মহৎ আমল।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন