বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা শুধু একটি রাজনৈতিক সংস্কারের রূপরেখা নয়, এটি একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয়— এমন মন্তব্য করেছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকাল ৪টায় বালাগঞ্জ উপজেলা সদরে আয়োজিত এক গণসংযোগ ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “রাষ্ট্র রূপান্তরের নতুন রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা হিসেবে ৩১ দফা জনগণের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। এর মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন এবং সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার নিশ্চিত করা হবে।”
সরকারি ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরে কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, “একটি অনির্বাচিত সরকারের দীর্ঘ শাসনে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আজ কার্যকারিতা হারিয়েছে। প্রশাসন পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে পড়েছে, বিনিয়োগ থমকে গেছে। এর সবই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অভাবে ঘটেছে।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণ বহুদিন ধরে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। অথচ একটি বিশেষ গোষ্ঠী সেই পথ রুদ্ধ করে রেখেছে। সুশাসন ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসনের জন্য একটি নির্বাচিত সরকার অপরিহার্য।”
তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি যে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের রূপরেখা তৈরি করেছে, তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, নির্বাচন কমিশন দ্রুত একটি সর্বপক্ষীয় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করবে।”
জুলাই মাসের আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, “এই আন্দোলন কারও একার নয়, এটি জনতার সংগ্রাম। রাজনীতিতে যার যা অবদান, তা তাকে দিতে হবে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যারা বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হবেন, তাদের হতে হবে আদর্শনিষ্ঠ ও সৎ।”
সমাবেশের শেষাংশে তিনি বলেন, “৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর আমূল সংস্কার সম্ভব। অতীতে বিএনপি সরকারে থেকে জনগণের কল্যাণে কাজ করেছে, শহীদ জিয়ার রেখে যাওয়া অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপরই আজকের রাষ্ট্র টিকে আছে।”
সভাপতিত্ব ও অন্যান্য বক্তারা:
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. লুৎফুর রহমান চেয়ারম্যান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এম. মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন:
জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তাজরুল ইসলাম তাজুল, সহ-দফতর সম্পাদক মাহবুব আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম তুরন, সহ-প্রচার সম্পাদক শাহীন আলম জয়, সদস্য আফতাব উদ্দিন ও আশরাফুল আলম বাহার।
উপজেলা বিএনপির নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন সহসভাপতি শাহ জুনাব আলী, আব্দুল বাছিত, যুগ্ম সম্পাদক তোফায়েল আহমদ সুহেল, মাওলানা মোঃ মনির হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সেফুল।
অন্যান্য উপস্থিত নেতৃবৃন্দ:
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আবুল হাসনাত, আব্দুল মুকিত শরীফ, আব্দুছ ছত্তার, চুনু মিয়া, দিলু মিয়া, আফজাল মেম্বার, নজরুল ইসলাম (মকদ্দুছ), মামুনুর রশীদ সুহেল, এমন চৌধুরী, খলিলুর রহমান মানু, মনসুর আহমেদ, পাবেল রহমান, আরিফ চৌধুরী, রায়হানুল হক, রিফল আহমদ, রাজু আহমেদ, শাহ অলীদ, সৈয়দ জুয়েল শাহরিয়ার, খিজির আহমদ, ফয়সাল শাফী, রেবাব আহমদ, মোহাম্মদ মিসবাহ, ফয়সাল আহমদ, এসএম সাবের ও সুমিম আহমেদ।