রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ঘিরে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তার নিরাপত্তায় আধুনিক প্রযুক্তি, ভারী অস্ত্র এবং বিশেষ প্রশিক্ষিত দেহরক্ষীরা সবসময় প্রস্তুত থাকেন।
পুতিনের সঙ্গে থাকে বিশেষ ব্রিফকেস ‘চেগেট’। একসময় এটিকে বলা হতো ভয়ংকর অস্ত্র, যা বিস্ফোরিত হলে আধা মাইল এলাকা ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখত। বর্তমানে এটি পারমাণবিক আক্রমণের নির্দেশনা পাঠানোর যোগাযোগ যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
দেহরক্ষী বাছাইয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয় মানসিক শক্তি, শারীরিক সক্ষমতা ও যেকোনো আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর দক্ষতায়। তারা বহন করেন এসআর-১ ভেক্টর পিস্তল, যা বুলেটপ্রুফ ভেস্টও ভেদ করতে সক্ষম। পাশাপাশি থাকে জ্যামিং ডিভাইস, ইলেকট্রনিক নজরদারি এবং ভারী সাঁজোয়া বহর—যেখানে যুক্ত থাকে একে-৪৭, অ্যান্টি-ট্যাংক গ্রেনেড লঞ্চার ও অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল। বর্তমানে পুতিন ব্যবহার করেন দেশীয় ব্র্যান্ড অরাস মোটরসের বিলাসবহুল গাড়ি ‘অরাস সিনেট’।
খাবারের নিরাপত্তায়ও রয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। রান্নার শুরু থেকে পরিবেশন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যুক্ত থাকেন। খাবার টেবিলে আসার আগে তা অন্যরা চেখে পরীক্ষা করেন। বিদেশ সফরে গেলে তার জন্য বিশেষভাবে বহন করা হয় লবণ, গোলমরিচ, টমেটো সস, পানি ও ন্যাপকিন।
সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো ‘পু স্যুটকেস’। এটি শুধু বুলেটপ্রুফ ঢাল নয়, বরং বিদেশ সফরে প্রেসিডেন্টের মলমূত্র সংগ্রহ করে মস্কোয় ফেরত নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। ধারণা করা হয়, পুতিনের শারীরিক অবস্থা গোপন রাখতেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস