
শেষ মুহূর্তের গোলে হংকংয়ের বিপক্ষে ৪-৩ ব্যবধানে হারের পর নির্বাক হয়ে গেছে বাংলাদেশ দল। ম্যাচের এমন নাটকীয় পরিণতি যেন গভীর দাগ রেখে গেছে লাল-সবুজের ফুটবলারদের মনে। জয় না হোক, অন্তত ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ার আশা করেছিল দলটি; কিন্তু নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ সেকেন্ডে হজম করা গোলই ডুবিয়েছে পুরো দলকে হতাশার সাগরে।
জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এএফসি এশিয়া কাপ বাছাইপর্বের রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। হামজা চৌধুরীর নিখুঁত ফ্রি-কিকে লিড নেয় স্বাগতিকরা। তবে পরপর তিন গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে কাবরেরার দল। এরপর শেখ মোরছালিন ও সামিত সোমের গোলে ম্যাচে ৩-৩ সমতা ফেরায় বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ মুহূর্তের হংকংয়ের গোলেই হাতছাড়া হয় অন্তত এক পয়েন্টের সম্ভাবনাও।
ম্যাচ শেষে গভীর হতাশায় ভরেছিল পুরো দল। খেলোয়াড়দের মুখে স্পষ্ট ছিল অবিশ্বাস—যেন কেউই ফলটা মেনে নিতে পারছিল না। লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী বলেন, ‘এটা এমন একটা ম্যাচ ছিল, বুঝতেই পারছি না কীভাবে অন্তত এক পয়েন্টও পেলাম না।’
তবু এই হারেও ইতিবাচক দিক খুঁজে নিচ্ছেন তিনি। হামজার ভাষায়, ‘ভাঙা রেকর্ডের মতো শোনাতে পারে, কিন্তু আমরা সত্যিই উন্নতি করছি। আমার মনে হয়, আজ আমরা অনেক ভালো খেলেছি।’
তবে এই হারে কার্যত এশিয়ান কাপ খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। তিন ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে কাবরেরার দল, অন্যদিকে তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে হংকং।
তবু আশার প্রদীপ নিভতে দিতে চান না হামজা চৌধুরী। সামনে থাকা বাছাইপর্বের বাকি ম্যাচগুলো জয়ের লক্ষ্য নিয়েই এগোতে চান তিনি। ‘আমাদের সামনে চার দিন পরই আরেকটা ম্যাচ। এখন লক্ষ্য পরের তিনটি ম্যাচ জেতা। হারটা কষ্টের, কিন্তু এটাও ফুটবলের অংশ,’ বলেন তিনি।
সমর্থকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এই ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তারকা। ‘সমর্থনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। কোচ ও ফুটবলাররা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে—কখনো কখনো ভাগ্যও বড় ভূমিকা রাখে,’ যোগ করেন হামজা।
আগামী মঙ্গলবার হংকংয়ের মাঠে বাছাইপর্বের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। হারের বেদনা ভুলে জয়ের প্রত্যাবর্তনই এখন লাল-সবুজ শিবিরের একমাত্র লক্ষ্য।



