রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

মনোনয়ন বঞ্চিত বিএনপি’র একাধিক সিনিয়র নেতা, কৌশলগত কারণে ৬৩ আসন ফাঁকা



আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে সক্রিয় ছিলেন বিএনপি’র বহু সিনিয়র নেতা। নিজ নিজ এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ ও প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন তারা। তবে দলীয় কৌশলগত সিদ্ধান্তের কারণে এবার মনোনয়ন পাননি দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা। কেউ কেউ আবার স্বেচ্ছায় প্রার্থী হতে চাননি।

গতকাল বিএনপি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। বাকি ৬৩টি আসন শরিক দল ও জোটের প্রার্থীদের জন্য ফাঁকা রাখা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি স্থায়ী কমিটির চার নেতা—ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান—দলীয় মনোনয়ন চাননি। এছাড়া মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস কাদের চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আসলাম চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, আবদুস সালাম আজাদ, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মীর সরাফত আলী সপু, নাজিমউদ্দিন আলম, সাবেক যুবদল নেতা মামুন হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন।

বরিশাল-২ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন, তবে এবার প্রার্থী করা হয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উজিরপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুকে।
ঢাকা-৮ আসনে ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। এবারও মনোনয়ন চাইলেও তালিকায় তার নাম নেই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন সাবেক এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। এই আসনটি জোটের প্রার্থীর জন্য ফাঁকা রাখা হয়েছে।
সিলেট-১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সিসিকের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, কিন্তু প্রার্থী করা হয়েছে খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরকে।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী মনোনয়ন চাইলেও তাকে বাদ দিয়ে প্রার্থী করা হয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাহউদ্দিনকে।
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন গিয়াস কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খন্দকার, তবে এই আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে।
ভোলা-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন সাবেক এমপি নাজিমউদ্দিন আলম, কিন্তু প্রার্থী হয়েছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।
মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন মীর সরাফত আলী সপু, সেখানে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে শেখ আবদুল্লাহকে।
টাঙ্গাইল-৫ আসনে প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু মনোনয়ন চেয়েছিলেন, তবে সেটিও জোটের জন্য ফাঁকা রাখা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন শামসুজ্জামান দুদু, কিন্তু তাকে বাদ দিয়ে প্রার্থী করা হয়েছে শরীফুজ্জামানকে।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!