
ছবি সংগৃহীত
সবকিছু পরিকল্পনামতো হলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর অথবা আগামীকাল শুক্রবার ভোরে লন্ডনে নেওয়া হতে পারে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে দেশের বাইরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বেলা তিনটার আগে এভারকেয়ার হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
কাতার সরকারের সহযোগিতায় খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, আজ সকালে কাতারের পক্ষ থেকে বিএনপিকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত ১২ দিন ধরে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা খুব একটা পরিবর্তিত হয়নি বলে জানা গেছে। তাঁকে নিয়ে দেশজুড়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে।
হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারকে প্রধান করে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাঁর চিকিৎসা তদারকি করছে।
বিএনপির একটি সূত্রের মতে, খালেদা জিয়ার ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তাতে কিছুটা উন্নতি আছে। তবে হৃদ্যন্ত্রের জটিলতা রয়ে গেছে। অন্য সমস্যাগুলো অনেকটাই অপরিবর্তিত।
গতকাল রাতে চীনের চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় এসে ওই মেডিকেল বোর্ডে যোগ দেন। এর আগে দুপুরে যুক্তরাজ্য থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রিচার্ড বেলে ঢাকায় পৌঁছে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন।
চিকিৎসকেরা গতকালই তাঁর সর্বশেষ পরীক্ষার রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত জানুয়ারিতে খালেদা জিয়া লন্ডন গিয়েছিলেন। সেখানে প্রথমে হাসপাতালে, পরে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করে চিকিৎসা নেন। প্রায় চার মাস পর গত ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি।
গত ২৩ নভেম্বর রাতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষায় ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়লে তাঁকে হাসপাতালে রাখা হয়। গত রোববার ভোরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এসডিইউ থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।




