শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

দালালদের হাত থেকে সতর্ক থাকার আহবান

উইন্ড্রাস কম্পেন্সেশন স্কিম এবং ইউকে এগ্রিকালচার ভিসা বিষয়ে লন্ডনে জিএসসির সেমিনার



উইন্ড্রাস কম্পেন্সেশন স্কিম এবং ইউকে এগ্রিকালচার ভিসা বিষয়ে এক সেমিনার গত সোমবার জিএসসির কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় । গ্রেটার সিলেট ডেভেলাপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইন ইউকের উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারপার্সন ব্যারিস্টার আতাউর রহমান। সেমিনারে মূল পবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী । জিএসসির সাউথ ইস্ট রিজিওনের সাধারন সম্পাদক ফজলুল করীম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে আলোচনায়ং অংশ গ্রহন করেন জিএসসি সাউথ ইস্ট রিজিওনের চেয়ারপার্সন মোহাম্মদ ইছবাহ উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা এম এ মান্নান, কমিউনিটি নেতা ইফতেখার হোসেন চৌধুরী, সাংবাদিক সাজু আহমদ, সাউথ ইস্ট রিজিওনের ট্রেজারার সুফী সুহেল আহমেদ, জয়েন্ট সেক্রেটারী আব্দুল মালিক কুটি ও মুহিব উদ্দিন চৌধুরী, সাংবাদিক খান জামাল সহ অনেকেই।

সেমিনারে বলা হয়, ইউকে এগ্রিকালচার ভিসা ও উইন্ড্রাস কম্পেন্সেশন স্কিমকে পুজি করে কিছু সংখ্যক দালাল চক্র উঠে এসেছে। তারা দেশে সাধারন সহজ সরল মানুষদেরকে প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে সংবাদ এসেছে আমাদের কাছে। জিএসসি এ সকল দালালদের কাছ থেকে সতর্ক থাকার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। সেমিনারে বলা হয়, ইউকে এগ্রিকালচার ভিসা কোন নতুন বিষয় নয়। ১৯৪৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইউকের এগ্রিকালচার ইন্ডাস্ট্রিতে ইউরোপিয়ান দেশের লোকজন কাজ করতে আসতেন। মূলত রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়ার লোকজন এই ভিসা নিয়ে আসতেন। রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়া ২০১৩ সালে ইউরোপের অন্তর্ভুক্ত হলে আর এই ভিসার কোন প্রয়োজনীয়তা থাকেনি। বর্তমান ব্রেক্সিট এর কারণে এই ভিসায় নতুন এক সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। তবে এই স্কিমে বাংলাদেশের নাম কোথাও উল্লেখ নেই। অথচ দালালরা এই ভিসায় প্রলোভন দেখিয়ে লোকদের আকৃষ্ট করছে।

এদিকে সেমিনারে বলা হয়, ১৯৪৮ সালে উইন্ডরাশ নামের জাহাজে করে জ্যামাইকা থেকে শ্রমিকদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসা হতো। গত বছর বাংলাদেশিসহ ওই সময় যুক্তরাজ্যে আসা অভিবাসীদের রাষ্ট্রীয় সেবা পেতে সংকটে পড়লে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। অনেককেই নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়। কারণ তাদের ১৯৭৩ সালের আগে ব্রিটেনে পৌঁছার কোনও নথি দেখাতে পারেননি। উইন্ডরাশ কেলেঙ্কারিতে জ্যামাকাইন বা ক্যারিবীয় বংশোদ্ভূতদের অধিকাংশকে আটক বা প্রত্যর্পণ করা হলেও বাংলাদেশি ও দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যুক্তরাজ্য সরকার ক্ষতিপুরন হিসেবে ২০০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ডের তহবিল গড়ে তুলেছে। এর আওতায় ইতিমধ্যে ২৩ জন বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পেয়েছেন । তবে এটাকে হরিলুট মনে করলে চলবে না। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা সঠিক প্রমান পত্র দাখিল করতে পারলে এর ক্ষতিপুরন পেতে পারেন ।
সেমিনারে পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত করেন সাউথ ইস্ট রিজিওনের রিলিজিয়াস সেক্রেটারী কামরুল হাসান চৌধুরী।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!