শক্তিমত্ত্বায় স্পষ্টতই এগিয়ে। দলে তারকা খেলোয়াড়ের ছড়াছড়ি। সেই আর্জেন্টিনা আটকে গেল ‘পুঁচকে’ আইসল্যান্ডের কাছে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে আসা দলটির সঙ্গে ১-১ গোলের হতাশার ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লিওনেল মেসিদের।
এ ম্যাচে সবার দৃষ্টি ছিল মেসির ওপর। তবে সুবিধা করতে পারেননি আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। প্রথমার্ধের ১৭ মিনিটে গোলবারে শট নিলেও রুখে দেন আইসল্যান্ডের গোলরক্ষক। তবে ৬৪ মিনিটের মাথায় ঘটান ভয়ংকর কাণ্ড। পেনাল্টি পেয়েও জালে বল জড়াতে পারেননি এ তারকা ফরোয়ার্ড।
এ ম্যাচে আক্রমণের দিক থেকে অনেকটা আর্জেন্টিনার সমানতালেই লড়েছে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলা আইসল্যান্ড। ম্যাচের ১৯ মিনিটের মাথায় গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন আগুয়েরো।
তবে আর্জেন্টাইনদের বেশিক্ষণ স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি আইসল্যান্ড। আর্জেন্টিনার আনন্দ স্থায়ী হয়েছে মাত্র ৪ মিনিট। আর্জেন্টাইন ডি-বক্সে এক জটলার সৃষ্টি হলো। আলফ্রেড ফিনবোগাসনের বানিয়ে দেওয়া সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি হরদুর বিয়ুর্গভিন মাগনুসন। ফিরতি বলে নিজেই তাই কাজ সারলেন ফিনবোগাসন। ম্যাচে ফিরে আইসল্যান্ড (১-১)।
প্রথমার্ধের বাকি সময়টা খুবই বিরক্তিকর। একের পর এক আক্রমণ করে গেছে আর্জেন্টিনা আর ১১ আইসল্যান্ডার মিলে জীবন বাজি রেখে ঠেকিয়ে গেছেন সেসব আক্রমণ। প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি আর কোনো দল। ৮০ ভাগ সময় বল পায়ে রেখেও লাভ হয়নি মেসিদের।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচটা হলো পুরোই একপেশে। একদিকে আর্জেন্টিনা আক্রমণের পর আক্রমণ করে যাচ্ছে, আর উল্টো দিকে রক্ষণে ব্যতিব্যস্ত আইসল্যান্ড। তবে এত এত আক্রমণ করেও গোলের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি আকাশি-সাদারা। ম্যাচের বাকি সময় গোল শুন্য থেকেই শেষ করতে হয় খেলা দু’দলকে।
এ বিশ্বকাপের ‘ডেথ গ্রুপে’ থাকা আর্জেন্টিনা এই ম্যাচে ড্র করায় গ্রুপ পর্বের কঠিন বাঁধা পেরোনোতে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল। ‘ডি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনার অপর দুই প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া ও নাইজেরিয়া। তাই গ্রুপ পর্ব ভালোভাবে উতরাতে হলে অপর দুই ম্যাচে মেসিদের জ্বলে উঠতে হবে দারুণ ভাবে।