শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

শিশু ক্যান্সার সচেতনতার মাস উপলক্ষে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের উদ্যোগে শিশু রোগিদের মধ্যে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা

হাসপাতালে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় ওসমানীনগরের ক্যান্সারাক্রান্ত রিমা প্রথম



শিশু ক্যান্সার সচেতনতার মাস উপলক্ষে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের উদ্যোগে শিশু রোগিদের মধ্যে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে  ওসমানীনগরের ক্যান্সার আক্রান্ত রিমা। শতাধিক অংশগ্রহকারী প্রতিযোগীদের মধ্যে সে এ সাফল্য অর্জন করেছে।

ক্যান্সারাক্রান্ত রিমার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ

এ উপলক্ষে ১৭ সেপ্টেম্বর (সোমবার ) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনিষ্টিটিউট ও হাসপাতালের সেমিনার হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন  হাসপাতালের পরিচালক ড. মোঃ মেয়াররফ হোসেন। রিমার লিখিত রচনার অংশ বিশেষ পাঠ শুনে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন  রাজধানীর বিশিষ্টি চিকিৎসকগণ ও উপস্থিতরা। তবে অনুষ্ঠান শেষে পুরস্কার গ্রহণকালে রিমা কেমোথেরাপির কারণে উপস্থিত না থাকায় তাঁর পক্ষে তাঁর বাবা পুরস্কার গ্রহণ করেন।

রিমার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করছেন তাঁর বাবা

এদিকে রিমাকে দেখতে গতকাল হাসপাতালে যান বাংলাদেশ জাতীয় সুন্নি উলামা মাশায়ে পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্টাতা সভাপতি হাকীম মাওলানা আনছার আহমদ, সাবেক মেম্বার মাসুক মিয়া। তারও আগে দেখতে যান সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারেছীনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী।

হাসপাতাল থেকে এসব তথ্য জানিয়ে সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ বলেন, রিমার এ পুরস্কার প্রাপ্তি আমাদের ওসমানীনগরকে উজ্জ্বল  করেছে। তাঁর রোগ তাঁকে ধাবিয়ে রাখতে পারেনি।

প্রসঙ্গত, ওসমানীনগরের পাঁচপাড়া মোহাম্মদিয়া মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী উসমানপুর  গ্রামের দিনমজুর দুদু মিয়ার মাতৃহারা মেয়ে রিমা টাকার অভাবে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত থেকে মৃত্যুর প্রহর গুনছিল। তাকে নিয়ে ৩ সেপ্টেম্বর বালাগঞ্জ প্রতিদিন এবং ৪ সেপ্টেম্বর উক্ত প্রতিবেদকের  দৈনিক সবুজ সিলেট পত্রিকায়  “ক্যান্সার আক্রান্ত মাদ্রাসা  ছাত্রী রিমা বাঁচতে চায়” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ পেলে বিষয়টি নজরে আসে বালাগঞ্জের দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের  মোহাম্মদপুর (শংকরপুর) গ্রামের সমাজসেবী প্রয়াত হাজী সোয়াব আলীর মেয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী মানবাধিকার আইনজীবি আকলিমা বিবির। তিনি এই প্রতিবেদকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে অসুস্থ রিমার খোঁজ খবর নেন। তিনি রিমার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সেবার জন্য বিষটি নিয়ে প্রধানন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী রিমার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন।

বর্তমানে  জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে রিমার চিকিৎসা চলছে।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!