জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগদানের লক্ষ্যে গত ২১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। বৈঠক করেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা, এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্রেস্টি কালজুলেইদ ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এছাড়া তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া সংবর্ধনা সভায় যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট, সাইবার নিরাপত্তা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষা ও বৈশ্বিক মাদকদ্রব্য সমস্যা নিয়ে কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিনি ইউএস চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ ও গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ইন্টার প্রেস সার্ভিস (আইপিএস) প্রদত্ত সম্মানজনক ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেন। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয়দানের মাধ্যমে মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করায় তাকে এই পদকে ভূষিত করা হয়।
পাশাপাশি দূরদৃষ্টির মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলার জন্য গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশনের পরিচালনা পর্ষদ প্রধানমন্ত্রীকে ‘২০১৮ স্পেশাল রিকগনাইজেশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করে। সপ্তাহব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে গত সোমবার দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।
সাধারণত কোনো দেশে সরকারি সফর শেষে ফিরে এসে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তবে সংশ্লিষ্ট সফর ছাড়াও সেখানে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রশ্ন করার সুযোগ পান সাংবাদিকরা। গত ২ সেপ্টেম্বর সবশেষ সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী।
কয়েক মাসের মধ্যেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। এর আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। এজন্য দেশের রাজনীতিতে কয়েকটি মাস অত্যন্ত গুরুত্ব হিসেবে দেখছেন রাজনীতির বিশ্লেষকরা। স্বাভাবিকভাবেই এবারের প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনও বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।