দিনের শুরু দেখে বলে দেয়া যায় দিনটা কেমন যাবে! এই প্রবাদ বাক্য দিনের শেষে আর মিলেনি। সেখানে মমিনুল -মুশফিকের ২৬৪ রানের এক জুঁটিই বদলে দিল হিসেব নিকেশ। দিনের একেবারে শেষদিকে দুটো উইকেট না খুয়ালে ৩ উইকেটেই তিনশ পাড় হওয়া ইনিংস নিয়ে কাল মাঠে নামত টাইগাররা।তবে শুরুতেই ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে সিলেটের স্মৃতিই যেন টেনে আনছিলেন লিটনরা। জারবিস আরেক দুরন্ত দিনের হুঙ্কার দিলেও হাল ধরেন মুশি-মমিনুল।
ক্যারিয়ারের ৭ম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১৬১ রানে আউট হন মমিনুল। প্রথম দিনের খেলা শেষে মমিনুল তাঁর এই সেঞ্চুরি প্রসঙ্গে জানান, মুশফিকের পরামর্শে ব্যাটিং অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল তাঁর জন্য। মমিনুল বলেন
“উনি আমাকে এত পরামর্শ দিয়েছেন যেগুলো আমার ব্যাটিংয়ে খুব কাজে এসেছে। সত্যি বলতে, আমার এই সেঞ্চুরির অর্ধেক কৃতিত্ব তারই।”
“উনি যখন ক্রিজে আসেন তখন কিন্তু আমরা রান করতে পারছিলাম না। ওরা খুব আঁটসাঁট বোলিং করছিল। উনি আসার পর যেন সবকিছু কিছুটা সহজ হয়ে গেল। আমার ক্ষেত্রে মুশফিক ভাই খুব সাহায্য করেছেন। পুরো ইনিংসে তিনি আমাকে ভালো গাইড করেছেন।”
“আমি মাঠে অনুভব করেছি, কেন তিনি বাংলাদেশের সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন। ব্যাটিং করার সময় তার পরিস্থিতি বোঝার ব্যাপারটা আমাকে খুব নাড়া দিয়েছে। উনার কিছু কিছু পরামর্শ খুব ভালো ছিল যা আমাকে ব্যাটিংয়ের সময় অনেক সাহায্য করেছে। উনার এই সাহায্য আমার ইনিংসে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”
অপর দিকে ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলেই ক্ষান্ত নন মুশফিক। দিনশেষে ১১১* রানে আছেন অপরাজিত। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত আছেন শূন্য রানে। সোমবার সকালে এই জুঁটি বড় হলে নিশ্চিত বলা যায় ৫০০ পেরোবে আরিফুলরা। তাতে আরেক জয় হাতছানি দেয়ারই কথা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ৩০৩/৫ (লিটন ৯, ইমরুল ০, মুমিনুল ১৬১, মিঠুন ০, মুশফিক ১১১*, তাইজুল ৪, মাহমুদউল্লাহ ০*; জার্ভিস ১৯-৫-৪৮-৩, চাটারা ১৮-১০-২৮-১, টিরিপানো ১৫-৩-৩৩-১, রাজা ১২-১-৬৩-০, উইলিয়ামস ৮-০-৩১-০, মাভুটা ১৬-০-৭৯-০, মাসাকাদজা ২-০-৭-০)