দিনের শুরুতেই সৌম্য সরকারকে হারানোর পর কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েসকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এই ম্যাচের আগে এই বছর ৩টি শতক পাওয়া মুমিনুল হক। লাঞ্চের আগে ইমরুল সাজঘরে ফেরেন ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়েই। তার আগে ৮৭ বলের মোকাবেলায় ৫ চারের সহায়তায় তিনি করেন ৪৪ রান।
তবে ফিফটি তো বটেই, সেঞ্চুরিরও আক্ষেপ থাকেনি মুমিনুলের। লাঞ্চের পর মোহাম্মদ মিঠুন ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সাথে ছোট দুটি জুটি গড়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের অষ্টম ও বছরের চতুর্থ শতক। ১৬৭ বলে ১০টি চার ও ১টি ছক্কার সহায়তায় ১২০ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় মুমিনুলকেও।
তার বিদায়ের পরই বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে ধ্বস নামে। লাঞ্চের পর কেউই উইন্ডিজ বোলারদের শক্ত হাতে মোকাবেলা করতে পারেননি। ৩ উইকেটে ২১৬ রান নিয়ে তৃতীয় সেশনে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দিনের শেষ সেশনে হারায় মুমিনুল, মুশফিক, সাকিব, রিয়াদ ও মিরাজের উইকেট। ৮ উইকেট পতনের পর অবশ্য নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ রেখেছেন অভিষিক্ত নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলাম। এই দুই লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে ২৪ ও ৩২ রান করে। যদিও ৮ উইকেটে ৩০৫ রান করা বাংলাদেশ প্রথম দিনশেষে দিনটিকে নিজেদের বলে দাবি করতে পারছে না!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮৮ ওভারে ৩১৫/৮ (ইমরুল ৪৪, সৌম্য ০, মুমিনুল ১২০, মিঠুন ২০, সাকিব ৩৪, মুশফিক ৪, মাহমুদউল্লাহ ৩, মিরাজ ২২, নাঈম ২৪*, তাইজুল ৩২*; রোচ ১৫-২-৫৫-১, গ্যাব্রিয়েল ১৮-২-৬৯-৪, চেইস ১১-০-৪২-০, ওয়ারিক্যান ২১-৬-৬২-২, বিশু ১৫-০-৬০-১, ব্র্যাথওয়েট ৮-১-১৯-০)