২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তারা ইসিতে যে তথ্য পাঠিয়েছেন সেগুলো বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
জানা যায়, ৩০০ আসনে বিএনপির মোট ৬৯৬ প্রার্থী নির্ধারিত সময়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে বাছাইয়ে ১৪১ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে বিএনপির ৫৫৫ প্রার্থী বৈধ হিসেবে রয়েছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের মোট ২৮১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে দলটির বৈধ প্রার্থী রয়েছে ২৭৮ জন।
২ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন। সারাদেশে দাখিল করা ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
বাতিল হওয়া প্রার্থীরা বুধবার পর্যন্ত আপিল করতে পারবেন। ৬, ৭, ৮ ডিসেম্বর আপিল শুনানি করে নিষ্পত্তি করবে কমিশন।
এ বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘যেসব মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষিত হয়েছে, সেসব প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিশনে আপিলের সুযোগ পাবেন। ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর আপিল শুনানি করে নিষ্পত্তি করবে কমিশন।
আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে।
এছাড়া, নেত্রকোনা-১ আসনের বৈধ প্রার্থী মানো মজুমদারকে ঋণ খেলাপি উল্লেখ করে তার প্রার্থীতা বাতিল করার জন্য আবেদন করেছেন ওই আসনের শাহ কুতুবুদ্দীন আহমদ।
আপিলের প্রথম দিন সোমবার ৮২ প্রার্থী কমিশনে আপিল করেছেন।