ফেঞ্চুগঞ্জের হাকালুকিতে এখন বর্ষার থই থই পানি নেই, তবুও ভ্রমণ পিপাসুরা হাকালুকির হিজল বন, বিল,পরিবেশ টাওয়ার ও দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ শ্যামল মাঠ একনজর দেখতে প্রতিদিন আসছেন হাকালুকিতে।
জাফলং, রাতারগুল, বিছনাকান্দি, পান্তুমাই ও জুগিরকান্দির পর এবার প্রকৃতিপ্রেমীদের নিকট জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের হাকালুকি হাওরের হিজল বন।
শনিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার থাকায় প্রচুর দর্শনার্থী এসেছেন হাকালুকি হাওরের সবুজ ক্ষেত ও হিজল বন দেখতে। হাকালুকি হাওরের ফেঞ্চুগঞ্জ অংশে ছোটবড় মিলিয়ে তিনটি হিজল বন রয়েছে। এখনকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল নেই এরপরও পর্যটকরা প্রকৃতিরটানে মোটরসাইকেল নিয়ে হাওরের আঁকাবাঁকা ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা দিয়ে হিজল বনে আসেন।
স্থানীয়রা জানান, হাওরে ও বিলে ভরা বর্ষার বিস্তর জলরাশি এখন নেই। শুষ্ক মৌসুম চলছে। মাঠে সবুজ ধান ক্ষেত দৌল খাচ্ছে। বদলে গেছে হাওরের চিরচেনা দৃশ্য। তবে এবার হিজল বন দেখতে পর্যটকরা এখন ভীড় জমাচ্ছেন হাকালুকিতে। হাওর জুড়ে এখন মনোরম প্রকৃতিক সৌন্দর্যের হাতছানি।
ঘুরতে আসা পর্যটকরা বলেন, হাকালুকির হিজল বনে যাওয়ার রাস্তাটা উন্নত করা হলে গাড়ি নিয়ে পরিবার-পরিজন সহ হিজল বনে আসা যেতো।
প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রতিনিয়ত আসছেন নতুনের সন্ধানে। ছুটির ফাঁকে প্রকৃতির সাথে খানিকটা সময় ও প্রকৃতির কাছাকাছি পৌঁছার জন্য ব্যাকুল হয়ে ছুটে আসা পর্যটক এখন প্রায় প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন ফেঞ্চুগঞ্জের হাকালুকির হিজল বনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।