কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমি ডিসির সঙ্গে কথা বলেছি, আমার অ্যাগ্রিকালচারের ডেপুটি ডাইরেক্টরের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সেখানে গিয়েছে, সেই চাল এনেছে, রান্না করেছে, মুড়ি বানিয়েছে। সেটা কোনক্রমেই প্লাস্টিকের চাল নয়, এটা বাস্তব সম্মত নয়।
তিনি আরও বলেন, দেশে চাল এখন সারপ্লাস (উদ্বৃত্ত), চাষীরা বিক্রি করতে পারছে না। আমি আমার রিসিপশনে (সংবর্ধনা) টাঙ্গাইলে গিয়েছি, হাজার হাজার মানুষ টাঙ্গাইল শহরে। এক দাবি- চালের দাম নেই, আমরা কৃষকরা শেষ হয়ে গেলাম। এ সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী আমাদের কিছু বলুন। আমি যখন বলেছি, মানুষ হাততালিতে ফেটে পড়েছে। কাজেই প্লাস্টিকের চাল, কোথায় থেকে এটা সম্ভব নাকি? কেন খাওয়াবে?
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, গাইবান্ধায় প্লাস্টিকের চাল বিক্রির অভিযোগে বিভিন্ন চালের দোকানে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় প্লাস্টিকের কৃত্রিম চাল জব্দও করা হয়।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা সদরের রনি মিয়া নামে একজন ক্রেতা বাজার থেকে চাল কিনে রান্না করতে গেলে সেগুলো গলে জমাট বাধে। এ নিয়ে সন্দেহ হলে তিনি বিষয়টি পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। পরে সেখান থেকে কিছু চাল ঢাকার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
চাল পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা সেগুলোও দেখবো। কিন্তু ওইখানে আমাদের কৃষিবিদ, অ্যাগ্রিকালচারাল গ্রাজুয়েট দেখেছে, কোনোক্রমেই প্লাস্টিকের চাল- ইটস ইমপসিবল।