এই ইপজেলায় মোট প্রার্থীর সংখ্যা নয় জন। তাঁরা বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় এখানকার প্রার্থীরা বেশ সরব। গণসংযোগ, মাইকিং অ্যানাউন্স থেকে শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ হাট বাজারেও জমজমাট পথসভা করতে নিত্য দেখা গেছে তাঁদের। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করতে অকৃপণ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি ও ব্যক্ত করতে দেখা গেছে তাঁদের।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রার্থী ও তাঁদের কর্মীরা শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার প্রায় সর্বত্র প্রার্থীদের পোস্টার সাঁটানো রয়েছে।
এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান। সাথে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে – ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল (আনারস প্রতীক), বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির মনোনীত সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্র নেতা আব্দুল আহাদ মিনার (হাতুড়ি প্রতীক) নিয়ে।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন – বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সিদ্দেক আলী (তালা প্রতীক), সাংবাদিক শাব্বীর এলাহী (চশমা প্রতীক), রামভজন কৈরী (টিউবওয়েল প্রতীক) ও আব্দুল মঈন ফারুক (মাইক প্রতীক) নিয়ে।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন – পারভীন আক্তার লিলি (ফুটবল প্রতীক) ও বিলকিস বেগম (পদ্ম ফুল প্রতীক) নিয়ে।
তবে প্রার্থীদের এতো প্রচারণার পরও আগামী ১৮ তারিখের নির্বাচেন কে কোন পদে নির্বাচিত হয়ে বিজয় মাল্য গলায় পরবেন তা আগাম ধারণা দেয় যাচ্ছে না। কারণ এই এলাকায় যেমন আছে নিরব ভোটারের একটি বড় সংখ্যা তেমন আছে স্থানভেদে একেক প্রার্থীর একেক জায়গায় শক্ত ঘাঁটি। তাই নির্বাচনের ফলাফলই জানান দিবে কে হচ্ছেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের আগামী দিনের নির্বাচিত প্রতিনিধি।