বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথায় কাজ করেন, কি করেন, সেখানে নিরাপত্তা কতটুকু নিজের ভেতরে সেই সচেতনতাটা আছে কিনা। এ ব্যাপারে নিজেদেরও সেই প্রস্তুতি থাকতে হবে।
দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা মোকাবিলা জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কী কী করণীয় সেগুলো প্রচার করা। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান করবে। আর জাতীয়ভাবে করা যে কোনো দুর্যোগ এলে আমাদের করণীয় কী? সেই নির্দেশনাগুলো আছে সেগুলো ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবহার, গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার, দাহ্য পদার্থ ব্যবহারে মানুষের মধ্যে সচেতনা বাড়াতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, কিছুদিন আগে একটা বহুতল ভবনে আগুন লাগলো সেখানে যে বিষয়টা লক্ষ্যণীয় ছিল সেখানে যারা কর্মরত ছিল তাদের মধ্যে কোনো সচেতনতা ছিল না। এমনকি সেখানে যে ফায়ার এক্সিট আছে সেটাও তারা জানে না।
তিনি বলেন, অনেক ফায়ার এক্সিট বা জরুরি নির্গমন পথে ইন্টেরিয়র সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অথবা সেখানে খালি জায়গায় যত মালামাল আছে সব সেখানে ফেলে রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্যোগ প্রতিরোধের সঙ্গে সঙ্গে যারা ব্যবহার করছেন তাদের মধ্যে সচেতনতা থাকা প্রয়োজন। এই সচেতনতা সৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিভিন্ন দুর্ঘটনা মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম ও দুর্যোগ-দুর্ঘটনা মোকাবিলায় সরকারের সক্ষমতার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ৮শ বছরের বেশি পুরনো মধ্যযুগীয় স্থাপত্য নটর ডেম ক্যাথেড্রাল ধ্বংস হওয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের ঘনবসতির কথা মাথায় রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অত্যন্ত ঘনবসতির দেশ। সেটা মাথায় রেখে প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হবে।
সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।