সভায় এক হাজার ৬১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পটির আওতায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের ৩১০ একর জমিতে ২ হাজার ১৫৪টি প্লট তৈরি হবে। একই সঙ্গে ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা হবে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা কেমিক্যাল ব্যবসা করেন প্রকল্পে শুধু তাদেরই জমি বরাদ্দ দিতে হবে। কোনোভাবেই যেন অন্য কেউ প্রকল্প এলাকায় প্লট বরাদ্দ না পায়।
সভায় ৩ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সিদ্ধিরগঞ্জ ৩৩৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ’ প্রকল্পসহ প্রায় ১০ হাজার ১১৬ কোটি টাকায় ব্যয়ে সাতটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে সরকার দেবে ৪ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা। আর সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ৪৯০ কোটি টাকা এবং প্রকল্প ঋণ পাওয়া যাবে ৫ হাজার ২২০ কোটি টাকা । প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সব প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন করতে হবে।
এদিকে দুই হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম-ফেনী-বাখরাবাদ গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্যাস সঞ্চালন লাইন প্রকল্প যে জমি দিয়ে যাবে তা সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে হবে। বর্তমান ও আগামী প্রজন্ম যেন বুঝতে পারে এই পথ দিয়ে গ্যাস লাইন নির্মিত হয়েছে। কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষায় জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শুধু বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নয়, মানবিকসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও যেন কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে- সেবিষয়ে নজর দিতে হবে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : ভোরের কাগজ