কাদের বলেন, দুই মাস ১১ দিন আগে আমার জীবন ছিল চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে। বাঁচব কি-না এ নিয়ে সংশয় ছিল। সেই জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় এবং আমাদের প্রিয় নেত্রী- যিনি চরম সঙ্কটে মা তার সন্তানের জন্য যা করেন তিনি আমার জন্য তা-ই করেছেন, তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। যিনি মমতাময়ী মা, সত্যিই তার কাছে আমার ঋণের বোঝা বেড়ে গেল।
তিনি বলেন, শেখ রেহানা, তিনি কোরআন শরীফ পাঠ করে আমার জন্য দোয়া করেছেন। তার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। যদিও সেই সময়ে আমার মধ্যে আমি ছিলাম না। শুনেছি, আপনজন এই সময় কাছে এসে ডাকলে মৃত্যুপথযাত্রী সাড়া দেয়। শেখ হাসিনা আমাকে নাম ধরে ডেকে ছিলেন, তখন আমি সাড়া দিয়েছিলাম- এটা পরে আমাকে বলেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দেশের মানুষ, দলের এবং দলের বাইরের সবাই আমার জন্য দোয়া করেছেন- এমনকি প্রবাসী বাঙালিরা আমার পাশে ছিলেন। সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো মানুষের ভালোবাসা। সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, আমি আপনাদের পাশে আছি। একজন রাজনীতিবিদের সবচেয়ে বড় অর্জন জনগণের ভালোবাসা পাওয়া, যা আমি পেয়েছি।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আসুন, আমরা নতুন উদ্যমে কাজ করে আমাদের নেত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করি। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রতি যারা আমার অনুপস্থিতিতে টিমওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হতে দেননি।
তিনি বলেন, আর পাঁচ মিনিট পরে যদি আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আসতাম তাহলে অন্য ঘটনাও ঘটে যেতে পারত, আপনারা কী তা ভেবেছেন?
এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসক এবং ডা. দেবী শেঠীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।