বিশ্বকাপের ঠিক দুসপ্তাহ পূর্বে অপ্রতিরোধ্য অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। এই ফাইনালেও সংশয় ছিল যখন ডার্ক ওয়ার্থের কঠিন হিসেব নিকেশে ২৪ ওভারে টার্গেট দাঁড়াল ২১০। ফর্মহীন বলে অভিশপ্ত সৌম্য নিজের ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসটি খেলে গেলেন অবলীলায়। যেন তাঁর ব্যাট বলে গেল আজ বিজয়ের দিন। তারপর মুশফিকের দৃঢ়তা এবং মহাকাব্যিক ফিনিশিং মোসাদ্দেকের।দেশের হয়ে ওয়ানডের দ্রুততম ফিফটিতে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়লেন।
এ এক স্বপ্ন জয় করা, এ এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশের প্রথম বৈশ্বিক ইঙ্গিত। এই জেতায় নিঃসন্দেহে হয়েছে বিশ্বকাপের বড় মঞ্চের পূর্বে নিজেদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার উপলক্ষ।
সাকিব আল হাসান আফসোস করতেই পারেন ছয় ফাইনালে নিজেই মাঠে থেকে হার দেখেছেন কিন্তু এ ম্যাচে রোমাঞ্চকর জয়ে যখন স্বপ্নের শিরোপা হাতে উঠল তখন মাঠের বাইরেই থাকতে হল তাঁকে। এবার সামনের বিশ্ব আসরে সাকিবসহ শিরোপা জিতুক টাইগাররা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৪ ওভারে ১৫২/১ (হোপ ৭৪, আমব্রিস ৬৯*, ব্রাভো ৩*; মাশরাফি ৬-০-২৮-০, সাইফ ৫-০-২৯-০, মুস্তাফিজ ৫-০-৫০-০, মোসাদ্দেক ২-০-৯-০, মিরাজ ৪-০-২২-১, সাব্বির ২-০-১২-০)।
বাংলাদেশ: ২২.৫ ওভারে ২১৩/৪ (তামিম ১৮, সৌম্য ৬৬, সাব্বির ০, মুশফিকুর ৩৬, মিঠুন ১৭, মাহমুদউল্লাহ ১৯*, মোসাদ্দেক ৫২*; নার্স ৩-০-৩৫-০, হোল্ডার ৪-০-৩১-০, রোচ ৫-০-৫৭-০, গ্যাব্রিয়েল ৩-০-৩০-২, রিফার ৩.৫-০-২৩-২, অ্যালেন ৪-০-৩৭-১)।
ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মোসাদ্দেক হোসেন
ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট: শেই হোপ