স্থানীয় সচেতনদের আপত্তিতে এ পর্যন্ত দু’বার দু’দফায় কাজ বন্ধ ছিলো। তবে রহস্যজনক ভাবে ২৫মে (শনিবার) দুপুরে এলাকাবাসী দেখতে পান আবার কাজ শুরু হয়েছে এবং আগের নিয়মেই চলছে। স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার বেশ কয়েকজন প্রেসকর্মী সরেজমিনে গেলে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন মিডিয়াকর্মীদের দেখে ঢালাই কাজের জন্য বানানো ঢালাইয়ের মসলা সাইডে রেখেই তারা দৌড়ে হাসপাতালে অন্যান্য বিল্ডিং এর আড়ালে চলে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, খুবই নিম্নমানের কংক্রিট এবং ইট দিয়ে ও হাসপাতালের পাশেই ধলাই নদী থেকে আনা ধলাই নদীর পলিযুক্ত বালু দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। আরো দেখা যায়, গত তিন থেকে চার দিন আগের ড্রেনের ভিতরের করা ঢালাই হালকা বৃষ্টিতেই উঠে যাচ্ছে।
তাছাড়া হাসপাতালে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পুরনো ইট নতুন ইটের সাথে মিশ্রিত করে কাজে লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সাইটে থাকা রাজমিস্ত্রির ঠিকাদার ফারুক আহমেদের কাছে কাজের সিডিউল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিডিউল আমার কাছে নেই। কাজের ঠিকাদারের নাম পরিচয় জানতে চাইলে তিনি ঠিকাদারের নাম পরিচয় জানাতে পারেননি। তবে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১৪ লক্ষ টাকা বাজেটে কাজটি শেষ করার কথা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
তবে কাজ দেখে মনে হয় নিজেদের খেয়ালখুশি মতো এবং এ পর্যন্ত সাইটে কোন সরকারি ইঞ্জিনিয়ার না থাকায় ছয় নয় করে দু লক্ষ টাকার মাধ্যমেই যেন কাজটি সমাধান করার চেষ্টা করছে কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠানটি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলছে কোন দফতরের অধীনে কাজ পরিচালিত হচ্ছে সেটা তাঁরা ভালো করে বলতে পারছেন না।
হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা ও পঃপঃকর্মকর্তা ইয়াহিয়া ট্রেনিং এ থাকায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বি এম সাজেদুল কবির এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামীকাল স্যার হাসপাতলে আসার কথা রয়েছে, আসলে বিষয়টি তাঁহাকে অবগত করা হবে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হককে বিষয়টি তাৎক্ষণিক মুঠোফোনে জানালে তিনি বলেন আমি বিষয়টি দেখছি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কোন ব্যক্তি কাজের সাইটে না থাকায় এ বিষয়ে ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। রাজমিস্ত্রি ফারুক আহমেদ এর কাছে বারবার ঠিকাদারের মোবাইল নাম্বার চাইলেও তিনি তা দেননি।