গত ১৭ জুন দুপুর ১২ টার দিকে বালাগঞ্জ আদিত্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্নয়ন কমিটির সভা চলাকালে স্কুল কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য গোপাল দাস অতর্কিত হামলার স্বীকার হন। তাঁর উপর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেলাল মিয়া এই হামলা চালিয়েছেন বলে জানা যায়। অতর্কিত এই হামলার সময় হুলুস্থুল সৃষ্টি হলে সভা সাময়িক স্থগিত হয় এবং পরে ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেলাল মিয়াকে বের করে দিয়ে যথারীতি সভা আবার পুনরায় শুরু করা হয়।
এ ব্যাপারে স্কুল কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য গোপাল দাসের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মিটিং চলাকালে হেলাল মিয়া অকথ্য ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করে। তাকে গালাগালি না করতে বললে সে আমাকে আক্রমণ করে ঘুষি মারে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সীমা রানী দাস বলেন, মিটিং চলাকালীন সময়ে হঠাৎ করে হেলাল মিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং গোপাল দাসের উপর হামলা করে। এতে দুজনই দস্তাদস্তিতে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে যথারীতি সভা চলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিন বলেন, এ ধরনের ঘটনা সত্যই দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনা বালাগঞ্জের জন্য লজ্জাজনক। তিনি সহ স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সাথে আলাপ করে জানা যায়, গত দু’বছর ধরে স্থানীয় শিশির দেব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ কতৃপক্ষের উপর মামলা করে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ জুন তারা মানববন্ধন ও করেন।
এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মুনিম বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে বিষয়টি অবগত করেছেন। আমি তাকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলেছি।
বালাগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাকিব ভুইয়া বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি এবং ধৈর্য্য ধরে নিষ্পত্তি করার জন্য বলেছি।
জানা যায়, আদিত্যপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সীমা রানী দাস বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কমিটি গঠনের জন্য বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনিত করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরীর অনুমতির জন্য তিনটি নাম পাঠান। যথাক্রমে গোপাল দাস, শিশির দেব ও মোঃ হেলাল মিয়া। গোপাল দাসের নাম এক নাম্বারে রেখে এমপি গত ২৭ মে অনুমোদন দিলে, গত ১৫ জুন বিদ্যালয়ের নতুন কমিটি গঠন করা হয়।