শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপশহরের ট্রেড লাইসেন্স বন্ধ করায় ব্যবসায়ীরা নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন : সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু



সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু – সাধারণ সম্পাদক, উপশহর ব্যবসায়ী সমিতি

আমরা চাই ভ্যাট, টেক্স সহ সরকারের রাজস্ব দিতে, আমরা চাই সরকারকে অর্থনৈতিক ভাবে সহযোগিতা করতে, আমরা চাই সরকারের বাজেটের ঘাটতি মেটাতে, আমরা চাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে। তবে একটি বিষয়ে ভোগান্তিতে আছি!

শাহজালাল উপশহর এলাকার ট্রেড লাইসেন্স সরকার কর্তৃক রিনিউ বন্ধ থাকায় উপশহরের ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রথমেই উপরোক্ত কথাগুলো বলেন, উপশহর ব্যবসায়ী সমিতি ইএফ এর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু।

জানা যায়, সিলেটের ব্যবসায়ীক স্থান শাহজালাল উপশহর এলাকার ট্রেড লাইসেন্স সরকার কর্তৃক হঠাৎ রিনিউ ২০১৬ ইং থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারণ বশতঃ বলা হয়েছে আবাসিক এলাকায় ব্যবসা করা যাবে না। যদিও দীর্ঘ দিন থেকে ঐ এলাকার লোকজন বৈধ ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।

উক্ত কারণ দেখিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বন্ধ করায় অত্র এলাকার ব্যবসায়ীরা এতে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছেন বলে জানান সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু। তিনি বলেন, অত্র এলাকায় প্রায় ৫৫০ শতাধিক ব্যবসায়ী রয়েছেন এবং ঐ প্রতিষ্ঠান গুলোতে গড়ে ২জন করে কর্মচারী রয়েছেন। এতে মালিক+কর্মচারী মিলে প্রায় ১৬৫০ পরিবার, প্রত্যেক পরিবারে লোকসংখ্যা গড়ে ৪ জন হলে মোট ৬৬০০ জন মানুষের আল্লাহ প্রদত্ত রিজিকের একমাত্র উছিলা এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যদি সরকার এই প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ করে দেন তাহলে একদিকে এই মানুষ গুলির হবে আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি, বাড়বে বেকারত্ব। অপরদিকে ক্ষতি হবে দেশের অর্থনীতির সরকার হারাবে বিরাট রাজস্ব।

তিনি জানান,  এবিষয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সরকারের কাছে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য ব্যবসায়ীদের পক্ষে আবেদন করা হয়েছে এবং তা বর্তমানে চলমানও আছে।

তবে  ইদানিং ভ্যাট অফিস কর্তৃক ব্যবসায়ীক ভ্যাট দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। কিন্তু ভ্যাট দিতে হলে আপনাকে নিবন্ধন করতে হবে আর নিবন্ধন করতে গেলে সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেন ট্রেড লাইসেন্স লাগবে। তখন ট্রেড লাইসেন্স আমরা পাচ্ছি না মর্মে জানালে কর্তৃপক্ষ জানান নিবন্ধনের দরকার নেই আবেদিত বলে ভ্যাট এর টাকা জমা দেওয়ার জন্য।

কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, আমার নামে রেজিষ্টেশন হলো না আমি টাকা টা কার নামে কোথায় দেবো? এমন একটি জটিল সমস্যায় অত্র এলাকার প্রায় ৫০০শ’র বেশি ব্যবসায়ী এই সমস্যায় আছেন।

এই সমস্যা সমাধানে উপশহর ব্যবসায়ী সমিতি ইএফ এর পক্ষ থেকে তিনি  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ সরকারের বিভিন্ন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!