বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

অবৈধভাবে এওলাছড়ার বালু তুলে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হচ্ছেন ভূমিদস্যুরা



ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার এক মাত্র বালুমহাল এওলাছড়া থেকে অবৈধ ভাবে বালু তুলে বিক্রি করছে একটি চক্র। এই চক্র বালুর সময় বালু আবার শুস্ক মৌসুমে বালু ফুরিয়ে গেলে ছড়া থেকে বালিমাটি,পাহাড় টিলা মাটি বিক্রি করে হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক। এই চক্রটি কখনো লিজের দোহাই দিয়ে আবার কখনো নিজের প্রভাব খাটিয়ে প্রতিদিন প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকার বালি তুলে বিক্রি করছে। তবে এ ব্যাপারে প্রশাসনের নিরবতা রহস্যজনক।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মাইজগাঁও ইউনয়নের এক মাত্র বালু মহাল ছিল এওলাছড়া। এ ছড়ার ছয়টি পয়েন্টে অবৈধভাবে  উঠে এসব বালু। সকালে তুলে বিকেলে সাথে সাথে বিক্রি করে ফেলা হয়। স্থানগুলো হচ্ছে – পালবাড়ি কালবার্ট, পুরানবাজার কালবার্ট, মনিপুর বাগান কালবার্ট এবং তার সংলগ্ন কলাবাগান কলোনীর পূর্ব পাশে  আর তিনটি স্থানে উঠছে এসব বালি।

বালি তোলার শ্রমিকদের সাথে কথা হলে তারা বলে, কাজের মানুষ আমরা কাজ করতে এসেছি। লিজ ব্যাপারে আমরা কিছু জানিনা। তারা আমাদের বলেছে বালি তুলতে কোন সমস্যা নেই। তারা কারা এমন প্রশ্নে শ্রমিকরা বলে, আমরা নাম জানিনা! তবে কয়েক জন কয়েক ঘাটে বালি তুলতে লাগাইছইন। আমরা লিজ-টিজ জানিনা, আমরা কামলা মানুষ।

এমতাবস্থায় ছড়াটি  কয়েক বছর ধরে লিজ না যাওয়ায় একটি চক্র প্রশাসনকে হাতে রেখে ভোগ দখল করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। যদিও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুরে জান্নাত থাকাকালীন তিনি এ ছড়ার অনেক অবৈধ বালি জব্দ করেন। তবে বর্তমানে তেমন কোন প্রতিকার দেখা যাচ্ছে না। যদি ও কিছু দিন আগে বদলি হওয়া উপজেলা  নির্বাহী অফিসার আয়শা হকের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় কালে এওলাছড়ার বালি মহালের ব্যাপারে বলা হয়েছিল। তখন তিনি বলেছিলেন তিনি এসিল্যান্ডকে দেখতে বলবেন এবং তিনি ব্যাবস্থা নিবেন। কিন্তু কোন ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি, তাই এখন বালির মৌসুমে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে এই অবৈধ বালি ব্যাবসায়ীরা।

এ বিষয়ে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জসিম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে মাত্র নতুন আমি, আমি বালি মহালের ব্যাপারে কিছুই জানিনা, তবে এখন জেনেছি। ছড়াটি লিজ কিনা আমি কাগজ দেখব, এবং প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!