সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার সকাল পৌনে আটটায় এরশাদ মারা যান।
এরশাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তাঁর আত্মীয় ও জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খালেদ আখতার। এ ছাড়া আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকেও এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত ১০ দিন ধরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ। তিনি রক্তে হিমোগ্লোবিন-স্বল্পতা, ফুসফুসে সংক্রমণ ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন। হাসপাতালটির চিকিৎসকরা আজ রবিবার সকাল পৌনে ৮টায় তার মৃত্যুর ঘোষণা দেন।
গত ৪ জুলাই দুপুরে এরশাদকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। তখন থেকে তার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যেতে থাকে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।
ওই দিন জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও এইচএম এরশাদের ছোট ভাই জিএম কাদের জানিয়েছিলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার অবনতির দিকে। তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিকভাবে কাজ করছে না।
প্রায় আট মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন এরশাদ। গত ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরেন।
এদিকে এরশাদের প্রথম জানাজা ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কেন্দ্রীয় মসজিদে আজ বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। তাছাড়া এরশাদের জানাজা চারটি স্থানে অনুষ্ঠিত হবে বলে ও জানা গেছে।
এর মধ্যে প্রথম জানাজাটি অনুষ্ঠিত হবে আজ রবিবার বাদ জোহর ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কেন্দ্রীয় মসজিদে। এরপর তাঁর মরদেহ কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নেয়া হবে।
দ্বিতীয় জানাজা আগামীকাল সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এবং তৃতীয় জানাজা ও বেলা ১১টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
আগামীকাল জানাজার পর হেলিকপ্টারে করে এরশাদের মরদেহ নেয়া হবে রংপুরে। সেখানে চতুর্থ জানাজা শেষে ঢাকায় সেনাবাহিনী কবরস্থানে দাফন হবে।