সিলেট জেলা যুবলীগের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনের ২য় অধিবেশন সোমবার (২৯ জুলাই) বিকাল ৫টায় কবি নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন ভিপি শামীম আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন সীমান্তিকের শামীম আহমদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজি আনিসুর রহমান।
এর আগে ওই দিন দুপুরে নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে সিলেট জেলা যুবলীগের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন- প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং প্রধান বক্তা ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরের রিকাবিবাজারস্থ কবি কাজি নজরুল অডিটোরিয়ামে কাউন্সিলরদের ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়। কাউন্সিলররা ব্যালট বাক্সে তাদের ভোট প্রদানের মাধ্যমে ভবিষ্যত কান্ডারি নির্বাচন করেন।
ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ। এসময় কেন্দ্রীয় যুবলীগের অন্য নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন শেষে রাতে প্রত্যক্ষ ভোটে কাউন্সিলররা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন। যেখানে সম্মেলনে সভাপতি পদে শামীম আহমেদ ১১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তিনি সদ্য বিলুপ্ত জেলা যুবলীগের কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য ও যুবলীগ নেতা শামীম আহমেদ ১০৭ ভোট বিজয়ী হন।
দলীয় একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, সভাপতি পদে অপর দুই প্রার্থী সেলিম উদ্দিন সেলিম ৮৬ ও অ্যাডভোকেট আলমগীর ৭৩ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া সভাপতি পদে আরেক প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ সম্মেলনের দু‘দিন আগেই প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে অন্য প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ৭১, অ্যাডভোকেট আফছর আহমদ ৬৭ ও জাহিদ সারোয়ার সবুজ ৩৩ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া বাতিল হয়েছে তিনটি ভোট।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে যুবলীগের সম্মেলনে সমঝোতার মাধ্যমে জগদীশ চন্দ্র দাসকে সভাপতি ও আজাদুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। এরপর দীর্ঘ দেড় যুগে জেলা যুবলীগের আর কোনো সম্মেলন হয়নি।