বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্ধ হচ্ছে না ফেঞ্চুগঞ্জের এওলাছড়া থেকে অবৈধ বালু উওোলন



সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার সারকারখানার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত এওলাছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উওোলনের ফলে কারখানার বাউন্ডরী দূর্বল হয়ে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে ও প্রশাসন যেনো দেখে ও না
দেখার ভান করে যাচ্ছে। প্রশাসনের এমন খামখেয়ালিকে দু:খজনক বলে মন্তব্য করছেন সচেতন মহল। এওলা ছড়া বালি মহাল থেকে প্রতিদিন অবৈধভাবে উত্তোলন হচ্ছে লক্ষ
লক্ষ টাকার বালি। সাথেই সারকারখানার বড় প্রজেক্টের কাজ চলছে।যদি ও এই বালি এই প্রজেক্টে ব্যাবহারের নিয়ম নেই তার পর ও কম খরচে পেয়ে কোম্পানি গুলো এই বালি দিয়েই চালিয়ে দিচ্ছে তাদের কাজ।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উওর কলাবাগানের মাথায় বাউন্ডরির খুটির গোড়ার মধ্যে
বড় গর্ত করে তোলা হচ্ছে ট্রাক ট্রাক বালি,এর কিছু সামনে এলে আরেক ঘাট, তার সামনে এলে আরেক ঘাট, মনিপুর বাগান সংলগ্ন ঘাট, পুরান বাজার ঘাট সহ এই ছয় ঘাটে প্রতিদিন উঠছে লক্ষ টাকার বালু।

জানাযায়, রাজনগর উপজেলার প্রধান তিনটি বালি মহালে মামলা থাকায় সেসব ছড়া থেকে
লুকিয়ে কিছু বালু উঠছে। যা বালুর চাহিদা মেটাতে পারছে না।
ফলে এই ছড়ার বালু চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কোম্পানিগুলোর কাছে। আর কোম্পানি গুলো তাদের সার্থে নিন্মমানের এই বালি ক্রয় করছে বলে দেখা গেছে।
জানাযায় এই চক্র বেশ কয়েক বছর ধরে অবৈধভাবে বালির সময় বালি
ও শুস্ক মৌসুমে মাটি বিক্রি করে গড়েছে টাকার পাহাড়। তাই এদের দাপটে প্রশাসন
অনেক সময় কথা বলে না। এরা যেখানে যে পরিচয়ে কাজ চালিয়ে নেয়।
তেমনি দেখা গেল বালি তুলা শ্রমিকদের সাথে কথা বলে তারা কারো নাম
বলতে চায়নি। এক শ্রমিক বল্ল সে মুফতি মিয়ার বালি তুলছে
। আরেকজন বল্ল শাজানের বালি। বাকিদের শ্রমিকরা ভয়ে এদের নাম পরিচয় বলেনি।
প্রতিদিন অবৈধভাবে বালি উওোলন হচ্ছে দেখে এমনি করে দুজন এলাকাবসী মন্তব্য করলেন ইউএনও হুরে জান্নাতের এখন দরকার ছিল
কারন হুরে জান্নাত থাকা কালিন তিনি অভিযান করে অবৈধ বালি জব্দ করেন।
এর পর ইউএনও আয়শা হক দায়িত্ব গ্রহনের পর সাংবাদিকদের সা্থে মতবিনিময় কালে
সাংবাদিকরা তাকে বালু মহালের ব্যাপারে অবহিত করলে তিনি ব্যবস্হা নিবেন বলে জানান। কিন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
এ ব্যাপারে সারকারখানা ব্যাবস্হানা পরিচালক প্রকৌশলী মনিরূল হকের সাথে মোটফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান দুস্কৃতিকারী ও ভূমিধস্যুরা তাদের দৃষ্টির অগোচরে এই কাজগুলো করে, তাই এদের আইনের হাতে তুলে দেওয়া উচিত।
এদিকে বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ অতি:দায়িত্ব সহকারী কমিশনার ভূমি সুমন চন্দ্র দাসের
সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি অতি:দায়িত্বে আছি বিষয়টি আমার জানা নাই।
এ ব্যাপারে ইউএনও স্যার বলতে পারবেন।
তবে এ ব্যাপরে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজৈলা নির্বাহী অফিসার জসিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!