শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিক্রি না হওয়ায় বালাগঞ্জে কোরবানি পশুর চামড়া ভাসিয়ে দেয়া হলো নদীতে



কোরবানির ঈদে পশুর চামড়ার পাইকারি ক্রেতা না পাওয়ায় বালাগঞ্জে কুশিয়ারা নদীতে চামড়া ভাসিয়ে দিয়ে প্রতিবাদ করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা। এমন ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের প্রায় অনেক জেলায়। চামড়া কেনার লোক না পাওয়া যাওয়ায় সারাদিন রাত পাহারা দিয়ে অপেক্ষার পর বাধ্য হয়েই চামড়া নদীতে ফেলে দেন তাঁরা।

উপজেলার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান বালাগঞ্জ ফিরোজাবাগ মাদ্রাসা ১১৯টি চামড়া, বালাগঞ্জ মহিলা মাদ্রাসা প্রায় ১০০টি, তিলকচানপুর আদিত্যপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা ৩৪টি, নতুন সুনামপুর মাদ্রাসা ৭০টি ও দক্ষিণ গৌরীপুর মাদ্রাসার ২৭টি চামড়া নদীতে ফেলে দেয়া হয়।

ফিরোজাবাগ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল মালিক (দা:বা:) ও মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা আব্দুল বাতিন বলেন, গতকাল থেকে পশুর চামড়া মাদ্রাসার রাস্তায়। এলাকাবাসী দুঃখ প্রকাশ করছে বাসা বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না দুর্গন্ধে। এমতাবস্থায় পুঁতার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নাই।

গত সোমবার বিকেল বেলা এক জন লোক আসছিল। সে ক্রয়ের জন্য দাম ১৫০টাকা বলে চলে গেছে। তার সাথে পরবর্তীতে যোগাযোগের কোন মাধ্যমও পেলাম না। লোকটাও ছিল অপরিচিত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন – ফিরোজাবাগ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল মালিক (দা:বা:), মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা সা’দ উদ্দিন (দা:বা:), ফিরোজাবাগ মাদ্রারার শিক্ষা সচিব মাও ফয়েজ আহমদ, মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা আব্দুল বাতিন, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আব্দুস শহিদ, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা আলী আজগর, মাওলানা জুনাইদ আহমদ, মাওলানা ফজলে হক, বালাগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম, তিলকচানপুর মাদ্রাসার সদস্য ফারুক আহমদ ও সাংবাদিক জাগির হোসেন প্রমুখ।

এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যন মোঃ আব্দুল মুনিম বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষকরা আমাকে জানালে আমি বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে অবগত করেছি।

বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুস সাকিব বলেন, বিষয়টি আমি ব্যক্তিগতভাবে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবগত করেছি।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!