শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সতর্ক করে দেয়া হয়েছে ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের সংসদ সদস্যদের

‘নো ডিল ব্রেক্সিট’ এর বিপক্ষে ভোট দিলে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার



ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ছবি : ইন্টারনেট

ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের সংসদ সদস্যদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে তারা যাতে চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের (নো ডিল ব্রেক্সিট) বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধাচারণ না করে।

বিরোধী লেবার পার্টির এমপিরা যখন সরকারের এই উদ্যোগ থামানোর পরিকল্পনা করছে, তখন কনজারভেটিভ এমপিদের সতর্ক করে দেয়া হলো।

পার্লামেন্টের হুইপ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ব্রেক্সিট নিয়ে সরকার যে দরকষাকষি করছে বিদ্রোহীরা সেটি ভেস্তে দেবে। হুইপ অফিসের কাজ হচ্ছে, সরকারের চিন্তাধারা অনুযায়ী এমপিদের ভোট নিশ্চিত করা।

ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের বলা হয়েছে, তারা যদি ‘নো ডিল ব্রেক্সিট’ এর বিপক্ষে ভোট দেয় তাহলে তাদের দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হবে। এর অর্থ হচ্ছে, বহিষ্কৃতরা আগামী নির্বাচনে কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী হতে পারবেন না।

কোন চুক্তি ছাড়া ব্রিটেন যাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের না হয় সেজন্য একদল এমপি সংসদে একটি আইন আনতে যাচ্ছেন।

তাদের এই উদ্যোগ তখনই সফল হবে, যদি ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের কিছু এমপি সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেন।

নো ডিল ব্রেক্সিট থামানোর জন্য বিরোধী লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রীসভা যখন বৈঠক করতে যাচ্ছে তখন ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের এই হুঁশিয়ারি দেয়া হলো।

আগামী ৩১শে অক্টোবর ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার কথা রয়েছে। সেটি চুক্তি হোক কিংবা না হোক। এ বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

রবিবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তাঁর হুইপদের সাথে নিজ দলের এমপিদের সম্ভাব্য বিরোধিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

কনজারভেটিভ হুইপ অফিসের একটি সূত্র বলেছে, ” মঙ্গলবার তাদের দলের সংসদ সদস্যরা যদি সরকারকে ভোট না দেয়, তাহলে তারা সরকারের দরকষাকষির অবস্থানকে ধ্বংস করবে এবং পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ জেরেমি করবিনের হাতে তুলে দেবে।”

ব্রেক্সিট বিষয়ে আগামী ১৭ অক্টোবর একটি চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। সেদিন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরবর্তী সামিট অনুষ্ঠিত হবে।

সে সূত্রটি বলেছে, “এই চুক্তি হবার সম্ভাবনা রয়েছে কারণ, ব্রাসেলস অনুধাবন করেছে যে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি-বদ্ধ।”

২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত এক গণভোটে যুক্তরাজ্যের মানুষ ইইউ থেকে বিচ্ছেদের পক্ষে রায় দেন। ব্রেক্সিট নামে পরিচিত এই বিচ্ছেদ। শুরু থেকে এ রায় কার্যকরের কৌশল নিয়ে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিতে গৃহবিবাদ শুরু হয়। বিদ্রোহীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে সেই গৃহবিবাদ চূড়ান্ত ধাপে পদার্পণ করল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

বিবিসি

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!