খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা শফিক উদ্দিন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধ করা। চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে স্থিতিশীল রাখার ব্যবস্থা করা। মজুতদারি ও মুনাফাখোরি সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা। ভোক্তাদের স্বার্থে ভোগ্যপণ্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গড়ে তোলা। কিন্তু আজ কোথায় সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন? গত এক বছরজুড়ে নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। ২০ টাকার পিয়াজ এখন ২০০ টাকায়ও ক্রয় করতে হয়। এক বছরে আলু ও পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। রসুন, ছোলা, মসুর ডাল, লবণ, আদা, সয়াবিন, চাল ও ডিমের দামও কয়েক শতাংশ বেড়েই চলছে।
প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের মন্ত্রীরা সরকারের বড় সাফল্য হিসেবে দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনার দাবি করলেও বাস্তবে তাদের এ দাবির কোন সত্যতা নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অবিশ্বাস্য মাত্রায় বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষের কষ্টের সীমা নেই। দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ তাদের আয়-ব্যয়ের সাথে হিসাব মিলাতে পারছে না। জনজীবনে এক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি নেমে এসেছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের বাঁচার পথ আস্তে আস্তে স্তব্ধ হতে চলেছে।
তিনি আরো বলেন, এই সরকারের আমলে অর্থনীতির সকল সূচক নিম্নগামী। সরকারের আর্থিক খাতে লাগামহীন অনাচারের কারণে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় একটি দেশ চলতে পারে না, প্রয়োজন এ অবস্থার উত্তোরণের। এ অবস্থা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের কাছ থেকে জাতিকে মুক্ত করা। আর তা করতে খেলাফত মজলিসের কর্মীরা ময়দানে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।
আগামী ২৫ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের অধিবেশন সফলের লক্ষ্যে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকালে সিলেট জেলা শাখার এক দায়িত্বশীল সমাবেশ প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলে।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা সৈয়দ মোশাহিদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুহম্মদ মুনতাসীর আলী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহম্মদ নজরুল ইসলাম ও আখলাক আহমদ।
জেলা সেক্রেটারি মাওলানা নেহাল আহমদের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন – জেলা সহসাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মুহাম্মদ ফজর আলী, মাওলানা মুখলিছুর রহমান, মাওলানা ওলিউর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল্লাহ আল হাদী, বায়তুল সম্পাদক হাফিজ মাওলানা শিব্বির আহমদ, অফিস সম্পাদক হাফিজ মাওলানা খালেদ আহমদ, মাওলানা কামরুল ইসলাম, মুহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম, হাফিজ মাওলানা আহমদ মাহফুজ আদনান, হাফিজ মাওলানা সানওয়ার আহমদ, মুহাম্মদ নুরুল হক।
শাখা দায়িত্বশীলদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন – গোয়াইনঘাট উপজেলা সভাপতি মাওলানা কাজী শরীফ উদ্দিন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সভাপতি মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন, উসমানী নগর উপজেলা সভাপতি মাওলানা হোসাইন আহমদ, সেক্রেটারি মাওলানা শোয়াইব আহমদ, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মাওলানা আবদুল খালিক, বালাগঞ্জ উপজেলা সহসভাপতি মাওলানা আব্দুস সহিদ, সেক্রেটারি আবুল কাশেম অফিক, বিশ্বনাথ উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা হবিবুর রহমান, সদর উপজেলা সেক্রেটারি কেএম রফিকুজ্জামান, গোপালগঞ্জ উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবদুস সালাম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা ইমাম উদ্দিন, জকিগঞ্জ উপজেলা সহ সেক্রেটারি মাওলানা জুবায়ের আহমদ, বিয়ানী বাজার উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবুল হাসান, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সেক্রেটারি হোসাইন আহমদ প্রমুখ।