কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফের নয়াপাড়া এই বড় দু’টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হবে। এরই অংশ হিসেবে সেনানিবাসে খুঁটি তৈরির কাজ চলছে। এছাড়া বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ২৮৭ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যেই সরকার অনুমোদন দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য সেনাবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত সদস্যবৃন্দ এবং ২০১৮-১৯ সালের শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের সংবর্ধনা ও পদক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৯ উপলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সোমবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসস্থ ‘আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে’ এ সংবর্ধনা ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ৩ জন বীরশ্রেষ্ঠের নিকটাত্মীয়, ৫ জন বীর-উত্তম, ১২ জন বীর-বিক্রম ও ৩০ জন বীর-প্রতীক এবং অন্যান্য ২৫ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ মোট ৭৫ জন সেনা সদস্যকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে ২০১৮-২০১৯ সালে শান্তিকালীন সময়ে বীরত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৬ জন ‘অসামান্য সেবা পদক’ এবং ১৭ জন ‘বিশিষ্ট সেবা পদক’ (বিএসপি) প্রাপ্ত সেনাসদস্যকে সেনাপ্রধান নিজ হাতে পদক পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্বগাঁথা এবং শান্তিকালীন পদক প্রাপ্তদের প্রশংসনীয় কর্মকান্ডের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়। এ সময় সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্য, তাদের নিকটাত্মীয় ও শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্তদের শুভেচ্ছা জানান এবং তাদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন। সেনা সদরসহ ঢাকায় কর্মরত উর্ধ্বতন ‘সেনা কর্মকর্তাবৃন্দ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সেনাসদরের পক্ষ থেকে প্রতি বছরই জাতির গর্ব-বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে এ ধরনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ভোরের কাগজ