আজ ৭ ডিসেম্বর বালাগঞ্জ মুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আদিত্যপুর গণকবরের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন ও শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সকাল ১০টার দিকে আদিত্যপুর গণকবরে এ শ্রদ্বাঞ্জলি প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন – বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুস সাকিব, উপজেলা মহিলা কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ চন্দ্র মন্ডল, বালাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রজত চন্দ্র দাস ভুলন, সহসভাপতি হুসাইন আহমদ, বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ তুহিন মনসুর, শিপন সেন, রিপন পুরকায়স্থ, অম্রিকা, অলকসহ অন্যান্যরা।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে বালাগঞ্জ উপজেলা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে জানা যায়, অবস্থানগত দিক থেকে সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ এ এলাকাকে মুক্ত করতে ১৯৭১ সালের ২ডিসেম্বর সকালে ভারতের সীমান্তবর্তী রাতাছড়া থেকে ৪০জনের একটি চৌকুস দল বালাগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
মুক্তিযোদ্ধাদের উভয় দল ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বালাগঞ্জ থানা সংলগ্ন এলাকায় সম্মিলিত অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে পাক বাহিনী দ্রুত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে বালাগঞ্জ থানার ওসির নেতৃত্বে একদল বাঙ্গালী পুলিশ বালাগঞ্জ থানা ভবনে অবস্থান করে। সারারাত মুক্তিযোদ্ধারা থানা ভবন ঘেরাও করে রাখে। পরদিন ৭ ডিসেম্বর সকাল ৮টার দিকে লোকমারফত ওসির কাছে আত্মসমর্পনের নির্দেশ পাঠিয়ে জানানো হয় মুক্তিবাহিনী চারদিকে ঘিরে ফেলেছে। আত্মসমর্পন ছাড়া কোন পথ নেই। পরে পুলিশ বাহিনী থানা ভবনের মালখানায় তাদের সব অস্ত্র জমা দেয়। সকাল ১০টায় বালাগঞ্জ থানার ওসি বালাগঞ্জ ডাক বাংলোয় মুক্তিবাহিনীর নিকট থানার চাবি হস্তাস্তর করেন। এ সময় এলাকার মুক্তিকামী শতশত মানুষের হর্ষধ্বনীতে প্রকম্পিত হয়ে উঠে বালাগঞ্জ। পাকিস্থানী পতাকা নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলে থানায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন কর হয়। উপস্থিত শতশত জনতা মুক্তিবাহিনীকে বালাগঞ্জে স্বাগত জানায়।