মহান বিজয় দিবস আজ। বিজয়ের দিন। বছর ঘুরে আবার ফিরে এসেছে সেই গৌরবের দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অস্তিত্ব প্রকাশের দিন আজ। একাত্তরের এই দিনে নতুন সূর্য উঠেছিলো বাঙলার নতুন মানচিত্রে। রক্তেভেজা প্রান্তরে লাল সবুজ পতাকায় সে সূর্য ছড়িয়েছিল নতুন প্রাণের আলো। স্বপ্নের সোনালি দিগন্ত ছুঁয়ে দিয়েছিল স্বাধীনতা।
তৎকালীন পাকিস্তানি হানাহারদের কাছ থেকে নতুন সূর্য ছিনিয়ে এনেছিল মুক্তিযোদ্ধারা। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল বাংলাদেশের।
অপরিসীম অত্মত্যাগ আর এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ের ৪৮ বছর উদযাপন করবে আজ গোটা দেশ। আজ সরকারি ছুটির দিন। রাজধানীসহ সারাদেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলো, গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনা আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপ সজ্জিত করা হয়েছে জাতীয় পতাকায়।
আজ হাসপাতাল, কারাগার ও এতিমখানাগুলোয় পরিবেশন করা হবে উন্নত মানের খাবার। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে, বেতার ও টিভি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।
মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী সংগঠনের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করবে।
সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করা হবে দলের পক্ষ থেকে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে আওয়ামী লীগ। সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিজয় দিবসকে ঘিরে যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাবলয় তৈরি করবে ঢাকা মহানগর পুলিশ। গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় থাকবে সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা।