মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেঞ্চুগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন



সিলেটে ফেঞ্চুগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার সামাদ প্লাজায় অনলাইন প্রেসক্লাবের অফিস কক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজা সায়মনের সভাপতিত্বে ও দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি সাংবাদিক এমরান আহমেদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন – হলিবিডি টুয়েন্টি ফোর ডটকমের সম্পাদক সৈয়দ সুমন, সন্ধ্যাবাণী পত্রিকার ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি শামসুদ্দিন আহমদ, সাংবাদিক ইকবাল আহমদ লিমন, ডেইলি ফেঞ্চুগঞ্জ ডটকমের স্টাফ রিপোর্টার রেজাউল করিম চৌধুরী কুটি।

আলোচনায় প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজা সায়মন বলেন- বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট অর্জন যে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ১৯১টি দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। পৃথিবীর ১৯৩টি দেশের প্রায় ৬ হাজার ভাষার সঙ্গে বাংলা ভাষার এক মহান মর্যাদা রয়েছে।

সাংবাদিক এমরান আহমেদ বলেন- ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। রক্ত দিয়ে মায়ের ভাষার অধিকার আদায়ের মাস এ মাস। ভাষা আন্দোলন অর্থাৎ একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। ভাষা হচ্ছে পারস্পরিক যোগাযোগ ও ভাবাবেগ প্রকাশের সবচেয়ে বড় নির্ভরতা। আর ভাষার মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে মাতৃভাষা। মাতৃভাষার প্রতি সকল জাতীরই আন্তরীক ও গভীর ভালবাসা বিদ্যমান। এ ভালবাসা মায়ের প্রতি ভলোবাসার মতোই। আমরা মাতৃভাষাকে প্রতিষ্ঠার জন্য যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি তা বিশ্বব্যাপি অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। তবে খুব কম জাতীর মানুষ মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য প্রাণ দিয়েছে। আমাদের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সূচনা সেই বায়ান্ন সালেই শুরু হয়েছিলো। এই আন্দোলনই আমাদের জাতীয় ইতিহাসে প্রথম ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস হিসেবে চিহ্নিত। রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বাংলাভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়োজনে আপোসহীন সংগ্রাম করেছেন আমাদের পূর্বসুরিরা।

সাংবাদিক সৈয়দ সুমন বলেন- ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে মাতৃভাষা করার দাবিতে পাকিস্তানি সরকারের ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে মিছিল বের করে ছাত্ররা। বুকের তাজা রক্তে প্লাবিত হয়েছে রাজপথ। আত্মাহুতি দিতে হলো বরকত, সালাম, রফিক, শফিউর, জব্বার প্রমুখকে। রক্তাক্ত সেই স্মৃতিময় দিনটিকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপি পালিত হয় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন শুধু আমাদের মাতৃভাষার মর্যাদাকে সুপ্রতিষ্টিত করেনি বরং অমর একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি লাভ করেছে।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!