বিগত প্রায় ৪ থেকে ৫ বছর ধরে বাজারের রাস্তার এই অংশ সংস্কার না হওয়া মানুষের ভোগান্তির অন্ত ছিল না। অল্প বৃষ্টিতে হাটু সমান কাদাজল ও নর্দমার পানিতে সয়লাব হয়ে যেতো। ফলে নর্দমা ও কাদাজল মাড়িয়ে কাপড়চোপড় ভিজিয়ে মানুষের চলাচলের প্রচন্ড প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হতো। এনিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বাজারে আসা সাধারণ মানুষ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল।
বালাগঞ্জ বাজারের প্রধান এই রাস্তার চতুর্পাশে রয়েছে, মদনমোহন বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স, পূবালী ব্যাংক ,ডাকঘর, সাবরেজিস্টার অফিস, বালাগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, কাজী অফিস, মোদন মোহন জীউ আশ্রমসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
অল্পবৃষ্টিতেই রাস্তায় জলাবদ্ধতার কারণে এখানে আসা পথচারীরা ছিলেন নাকাল। যানবাহন চলাচলেও মারাত্মক বিঘ্নতার সৃষ্টি হতো। ছোটো-খাটো দুর্ঘটনাও ঘটতো। ব্যবসায়ী ও সর্বস্থরের মানুষ বাজারের রাস্তার এই অংশ সংষ্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অবশেষে রাস্তার এই অংশে আরসিসি ঢালাইর কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে দির্ঘদিন পর রাস্তার ওই অংশে সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় বাজারের ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের শ্রেণি পেশার মানুষের স্বস্তি ফিরে এসেছে। বালাগঞ্জ বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সাদ উদ্দিন, সহকারী ইমাম মাওলানা আব্দুল আলীম, মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি ও দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আব্দুর নুর, স্থানীয় ব্যাবসায়ী – জয়নাল আবেদীন, আবু শাহজাহান, আব্দুল মুহিত, মুস্তাক আহমদ, আব্দুল হান্নান, বদরুল ইসলাম, আব্দুল আলীম, মখদ্দছ আলী, সালেহ আহমদ সুকুর প্রমুখ বলেন, মসজিদের সামনের রাস্তায় পানি জমে থাকায় আমাদের নামাজে আসা-যাওয়ায় খুব কষ্ট হতো। দীর্ঘদিন পরে হলেও রাস্তায় কাজ শুরু হয়েছে দেখে ভালো লাগছে। আশাকরি কাজটি শেষ হলে মানুষের দুর্ভোগ লাগব হবে।
বালাগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. জুনেদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক কাওছার আহমদ কওছর বলেন, এই স্থানের জলাবদ্ধতার জন্য বাজারের ব্যবসায়ীসহ বাজারে আসা বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাতেন। রাস্তাটির উল্লিখিত স্থানে দ্রুত সংস্কারের জন্য আমরা বণিক সমিতির পক্ষ থেকে ও সর্বস্তরের জনগণ দাবি জানিয়ে আসছিলাম। রাস্তাটির সংষ্কার কাজ শুরু হওয়ায় আমার আনন্দিত।