সুত্রে জানা যায়- উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের আওতাধীন বাদেদেউলী গ্রামের প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা কামাল আহমেদের পিতা হাজী সােহাগ মিয়া গত একবছর আগে একই গ্রামের মৃত নােয়াব আলীর ছেলে আব্দুল্লা এবং একই গ্রামের মৃত আব্দুল নুরের ছেলে আলমগীর জামান বুলবুলের কাছে ৫ টি গরু ও ২ শত হাস বর্গা হিসেবে দেন, যার ক্রয় মুল্য ২,৬০৮২০ / টাকা ।
তিনি অভিযােগে বলেন- আমি তাদেরকে বিশ্বাস করে এতাে টাকার গরু ও হাস দেবার পরে তারা কয়েকদিন আমার সাথে ভালাে ব্যাবহার করে কিন্তু কয়েকমাস যাবার পরে আমি অসুস্থ হয়াতে তাদের সাথে আর যােগাযােগ করতে পারিনি! এর কিছুদিন পরে তাদেরকে গরু ও হাসের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা নানা টালবাহানা ও অজুহাত দেখাতে থাকে এমন্তাবস্থায় আব্দুল্লা ও আলমগীর জামান বুলবুল পরস্পর যােগশাজসে আমার বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রতারণামুলক ভাবে আমাকে না জানিয়ে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে ৪ টি গরু ও ২ শত হাস বিক্রি করে দেয়।
তিনি অভিযােগে আরো বলেন- পরবর্তীতে আমি গরু ও হাস দেখতে চাইলে তারা বিক্রয়ের কথা স্বীকার করে এবং আমাকে বিক্রয়ের টাকা দিয়ে দেবে এবং সাক্ষীদের মাধ্যমে আমাকে ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করে, এতে আমি উক্ত টাকা গ্রহণ করে আইনের দারস্থ হলাম।
এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লিটন রায় জানান-আব্দুল্লা এবং আলমগীর জামান বুলবুলের প্রতারণার স্বীকার হয়ে হাজী সােহাগ মিয়া ২৩ নভেম্বর ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন এবং আজ বৃহস্পতিবার মামলার দ্বিতীয় আসামী আলমগির জামান বুলবুল কোর্টে জামিন নিতে গেলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।
তথ্যসূত্রঃ ফেঞ্চুগঞ্জ নিউজ ডটকম