নতুন ধরনের করোনা সংক্রমণের ভয়ে বৃটেনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে ভারতসহ ৩০টি দেশ। আরো অনেক দেশ যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ার চিন্তা করছে। বৃটেনে করোনার নয়া এই সংস্করণ চিহ্নিত হওয়ার পর দেশটির সরকার নতুন করে কড়াকড়ি আরোপের পরই একের পর এক দেশ বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। সর্বশেষ ভারতের তরফে বৃটেনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ার তথ্য জানানো হয়। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বুধবার থেকে। তা বহাল থাকবে বছরের শেষ পর্যন্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ভারতে। তাদের সংখ্যা এক কোটির বেশি। মারা গেছেন কমপক্ষে এক লাখ ৪৫ হাজার মানুষ। ওদিকে আগামী মাস থেকে নাগরিকদের করোনার টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত সরকার।
এদিকে, নতুন বৈশিষ্ট্যের এই করোনাভাইরাস সংক্রমণে লণ্ডন ও দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যাণ্ডে টিয়ার ৪ বা সর্বোচ্চ মাত্রার লকডাউন ঘোষণা করেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে মন্তব্য করেছেন। রোববার এমন ঘোষণা দেয়ারপর থেকেই বৃটিশ ফ্লাইটের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারতসহ ৩০টিদেশ।
এর মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, পর্তুগাল, সুইডেন, বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, পোল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া ও তুরস্ক। ইউরোপের বাইরের দেশ ভারত, কানাডা, ইরান, সৌদি আরব, ইসরাইল, কুয়েত এল সালভাদর, আর্জেন্টিনা, চিলি ও মরক্কো এমন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অন্যদিকে এশিয়ার দেশগুলো পরিস্থিতির দিকে নিবিড় নজরদারি করছে।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে উদ্বেগ দেখা দিলেও বিমান যোগাযোগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ফ্লাইট বন্ধের চিন্তা আছে। লণ্ডনের সঙ্গে এখন সপ্তাহে দু’টি ফ্লাইট চলাচল করছে।