বৃটেনের সঙ্গে ফ্রান্সের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া নিয়ে নিজ দেশের জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ফ্রান্সের এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন ডেকে যত দ্রুত সম্ভব সীমান্ত চালু করতে বৃটেন কাজ করছে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। বরিস জনসন বলেন, ফ্রান্সের এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র মানুষ নিয়ন্ত্রিত মালামাল পরিবহনের ওপর প্রভাব ফেলবে। যা ইউরোপে পাঠানো মোট পণ্যের মাত্র ২০ শতাংশ। এর আগে বৃটেনে করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরণ ছড়িয়ে পড়ায় ৪৮ ঘন্টার জন্য দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দেয় ফ্রান্স। ফ্রান্স বলছে, বৃটেনে সম্প্রতি নতুন প্রজাতির করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর এই পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজন ছিল। ইতোমধ্যেই নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ইতালি, বেলজিয়াম, আইরিশ প্রজাতন্ত্র, তুরস্ক এবং কানাডাসহ বেশ কিছু দেশ বৃটেনের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল বাতিল করেছে।
এসব নিয়ে কথা বলতেই ডাউনিং স্ট্রিটে একটি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন জনসন। তার সঙ্গে ছিলেন, বৃটেনের পরিবহন মন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস এবং প্রধান বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যালান্স। বরিস জনসন বলেন, যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা মোকাবেলায় সরকারের দীর্ঘ পরিকল্পনা ছিল। পরিবহনে যে সংকট দেখা দিয়েছে তা সমাধানে বৃটেন আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। সুপারমার্কেটসহ যেসব স্থানে এই সংকটের প্রভাব দেখা দিতে পারে সেখানে পণ্যের যোগান নিশ্চিত করা হয়েছে। দ্রুত এই সংকটের সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বুঝতে পারছেন অন্য দেশগুলো কেনো উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। তবে লরি ড্রাইভারদের থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি সামান্য। তাছাড়া বৃটেনের ৫ লাখের বেশি মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ নিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে বরিস জনসন বলেন, পুরো বৃটেনজুড়ে লকডাউন দেয়া হয়নি কারণ করোনার নতুন ধরণ সর্বত্র সমানভাবে ছড়াচ্ছে না। যেসব এলাকায় এর সংক্রমণের মাত্রা বেশি শুধু সেসব এলাকাকেই টিয়ার ৪ লকডাউনের অধিনে আনা হয়েছে। তবে স্যার প্যাট্রিক ভ্যাল্যান্স বলেন, নতুন ওই ধরণ আসলে সমগ্র বৃটেনজুড়েই পাওয়া গেছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় অত্যাধিক সংক্রমণ হচ্ছে। এরপরেও তিনি বলেন, সংক্রমণ থামাতে মানুষের নিজ এলাকার বাইরে যাওয়া উচিত নয়।