মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

সবজির বাম্পার ফলনে খুশি বালাগঞ্জের দুই সফল চাষী নজরুল ও নুরুল



চলতি মৌসুমে সবজির বাম্পার ফলনে বেশ খুশি সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্বগৌরিপুর ইউনিয়নের নতুন সুনামপুর গ্রামের দুই সফল চাষী নজরুল ইসলাম ছাখন ও নুরুল ইসলাম।

সবজি চাষে তাদের এই সফলতা নিয়ে আলাপকালে জানা যায়, বিগত ২ বছর আগে অনেকটা সখ ও নিজেদের পরিবারের জন্য বিষমুক্ত সবজির চাহিদা পূরণে তারা অল্প সবজি চাষ করেন। প্রথমদিকে বিভিন্ন কারণে তেমন ভালো ফলন না হলেও পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে স্বজনদের ও দেন। নিজের উৎসাহে গত ২ বছর থেকে বাণিজ্যিকভাবে স্বল্প চাষ করলেও এবার ভিন্ন পর্যায়ে ৭০বিঘা জমিতে ১লক্ষ ৩০হাজার টাকা ব্যয় করে পনেরো ধরনের মৌসুমশীর্ষ ও আগত মৌসুমি সবজি দুজনে ফলান। এরমধ্যে গম ৫বিঘা, সূূর্যমুখী ১৭বিঘা, মিষ্টি কুমড়া ১৪বিঘা, ক্ষিরা ৫ বিঘা, ধনিয়া ৭বিঘা, সরিষা ৫বিঘা, বাদাম ৭বিঘা, করলা ১বিঘা, কুমড়া ১বিঘা, ঢেঁড়স ও ডাটা ১বিঘা, তরমুজ (পরীক্ষা মূলক)ও ছিঁচিঙ্গা ১বিঘা, লালশাক ১বিঘা ও কচু ফলিয়েছেন ২বিঘা জমিতে। এসব মিশ্র চাষে বেশ লাভবান হবেন বলে আশাবাদী তাঁরা। এপর্যন্ত ক্ষিরা, মিষ্টি কুমড়া ও সরিষা শুধু বিক্রি শুরু হলেও চলতি সপ্তাহে আরো বেশ কয়েক প্রজাতির উৎপাদনকৃত ফসলাদি বিক্রির উপযুক্ত হয়ে যাবে বলে ও জানিয়েছেন তাঁরা।

কথা প্রসঙ্গেঁ নজরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগীতায় ফসল ভালো হয়েছে। প্রথম দিকে পানির সুব্যবস্থা থাকলে আশাতীত ফলন হতো। তিনি কৃষি অফিসের মাধ্যমে সরকারের কাছে জোর দাবি করেন, কৃষি প্রযুক্তির আধুনিক যন্ত্রাদিসহ কৃষি ভুর্তকি প্রদান করলে আমরাসহ বাকি কৃষকরা ফসলাদি ফলাতে উদ্ভুদ্ধ হবে। এতে করে সরকারের অর্থনৈতিক খাতে প্রভাব ফেলবে বলে আমরা আশাবাদী।

বালাগঞ্জ উপজেলা কৃষিবিদ সুমন মিয়া বলেন, সৌরশক্তি ও পানি সাশ্রয়ী মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প কর্তৃক পতিত জমি চাষের আওতায় এসেছে। এতে এক ফসলী জমিকে দুই-তিন ফসলীতে রুপান্তর করা হয়েছে। নজরুল ইসলাম মাশা-আল্লাহ প্রদর্শনীতে যেসব ফসলাদি উৎপাদন করেছেন তাতে আমরা আনন্দিত। এগুলো দেখে আগামীতে অনেক চাষী আগ্রহের সাথে সবজি ক্ষেত করতে আগ্রহপ্রকাশ করবেন। এরকম উদ্যোক্তা তৈরী হলে আগামীতে তার দেখাদেখি আরও অনেকে এগিয়ে আসবে, এতে কৃষি একটি লাভজনক পেশা হিসাবে দাঁড়াবে। সরকার থেকে ভুর্তকি দিয়ে সূর্যমুখী তৈল নিষ্কাশন যন্ত্র আসলে মাশাআল্লাহ সমিতির অগ্রাধিকার থাকবে এবং কৃষি অফিস থেকে যতটুকু সম্ভব তাঁদের কে সহযোগীতা প্রদান করা হবে। তিনি আরও বলেন, উপজেলায় চলতি মৌসুমে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা দাড়িয়েছে ১৮০৮ হেক্টর জমিতে।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন