রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাদিক খান লণ্ডনের মেয়র পুনর্নির্বাচিত



আবার লণ্ডনের মেয়র নির্বাচিত সাদিক খান। ছবি: সংগৃহীত।

পূর্বাভাসকে সত্য প্রমাণ করে পুনরায় লণ্ডনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিরোধী লেবার দলের সাদিক খান। এ নিয়ে তিনি টানা দু’বার লণ্ডনের মেয়র নির্বাচিত হলেন। এর আগে ২০১৬ সালে প্রথমবার লণ্ডনের ইতিহাসে প্রথম একজন মুসলিম হিসেবে নির্বাচিত হন। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার ঘোষিত ভোটের ফলাফলে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী শন বেইলিকে পরাজিত করেছেন। নির্বাচনে সাদিক খান পেয়েছেন শতকরা ৫৫.২ ভাগ ভোট।

নির্বাচনী দৌড়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন গ্রিন পার্টির প্রার্থী সিয়ান বেরি। চতুর্থ অবস্থানে লিবারেল ডেমোক্রেট প্রার্থী লুইসা পোরিট। উল্লেখ্য শতকরা ৫ ভাগের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে লিবারেল ডেমোক্রেট প্রার্থী তার জামানত হারিয়েছেন। এ ছাড়া ডারহাম কাউন্টি কাউন্সিলের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে লেবার দল। অন্যদিকে কনজার্ভেটিভ পার্টি প্রচলিত রাজনীতির উর্বর ভূমিতে পথ করে নিয়েছে।

পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত সাদিক খানের জন্ম ১৯৭০ সালে দক্ষিণ লণ্ডনে। ভাইবোনদের মাঝে পঞ্চম সাদিক সাউথ লন্ডনের টুটিং এলাকায় বেড়ে উঠেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় তার দাদা-দাদী ভারত থেকে পাকিস্তানে পাড়ি জমিয়েছিলেন। সাদিক খানের জন্মের কিছুদিন আগে তার বাবা-মা যুক্তরাজ্যে চলে আসেন। তার বাবা প্রয়াত আমানুল্লাহ খান ২৫ বছর বাসচালক হিসেবে কাজ করেছেন। মা শেহরান ছিলেন একজন দর্জি। খেলাধুলায় বিশেষ আগ্রহী সাদিক খান তরুণ বয়সে বর্ণবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বক্সিং শেখেন। একজন তরুণ হিসেবে সারে ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন তিনি।

১৫ বছর বয়সে সাদিক খান লেবার পার্টির সদস্য হন। তিনি হতে চেয়েছিলেন একজন দন্তচিকিৎসক। কিন্তু স্কুলে সবসময় বিভিন্ন ইস্যুতে বিতর্ক করতেন বলে তার প্রধান শিক্ষক তাকে আইন বিষয়ে পড়ার পরামর্শ দেন। ইউনিভার্সিটি অব নর্থ লন্ডনে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন সাদিক। টুটিংয়ে স্থানীয় কাউন্সিলে তিনি ১২ বছর কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে এই এলাকা থেকে লেবার পার্টির এমপি নির্বাচিত হন সাদিক খান। ২০০৮ সালে সাদিক খান প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের মন্ত্রিসভায় মিনিস্টার অব স্টেট ফর কমিউনিটিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি পরিবহনমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। দুই সন্তানের জনক সাদিক খানের স্ত্রী সাদিয়াও একজন আইনজীবী হিসেবে কর্মরত। সূত্র : হাফিংটন পোস্ট, ইউকে স্ট্যান্ডার্ড।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!