ফেঞ্চুগঞ্জে কাবিকা প্রকল্পের কাজ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্প চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পের শর্ত ভঙ্গ করে রাতের আঁধারে এক্সেভেটর নিয়ে কাদা মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে রাস্তা। প্রকল্পের প্রজেক্ট চেয়ারম্যান হিসেবে ইউপি সদস্য ফাতেহা বেগমের নাম থাকলেও তিনি কাজের বিষয়ে কিছুই জানেন না। এমনকি ওয়ার্ড মেম্বার আকবর আলীও বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেন নি। এদিকে, জনপ্রতিনিধি কেউ কাজের বিষয়ে না জানলেও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রামবাসী। তাদের দাবি-জনপ্রতিনিধিদের লুকোচুরি খেলা এবং অনিয়মের মাশুল দিচ্ছেন সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দারা।
এমন ভোগান্তির শিকার হয়েছেন উপজেলার মানিককোনা সুলতানপুর গ্রামের সাধারণ মানুষ। ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে কাজ করার কথা থাকলেও সেখানে যন্ত্রদানব এক্সেভেটর দিয়ে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। এক্সেভেটর ব্যবহারের ফলে খাল পাড় কেটে ফেলায় অনেকের বাড়ি-ঘর এখন হুমকীর মুখে।
জানাগেছে- কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি’র (কাবিকা) আওতায় ৫ নং উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের মানিককোনা, সুনতানপুর গ্রামের একটি রাস্তার সংস্কার কাজের বরাদ্ধ আসে তিন লাখ ১৫ হাজার টাকা। অভিযোগ রয়েছে- ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. এমরান উদ্দিন কাজের জন্য বরাদ্ধকৃত প্রকল্প বিক্রি করে দেন দেড় লাখ টাকায়। খালের পাড় ঘেঁষা এই রাস্তায় ম্যনুয়েল পদ্ধতিতে মাটি না তোলে এক্সেভেটর মেশিন দিয়ে খালে কাদা মাটি রাস্তায় ফেলা হচ্ছে।
এদিকে, কাঁদামাটি উত্তোলন করে মাটি ভরাট করার পর পরই ওই রাস্তাটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। তাছাড়া, বৃস্টি মৌসুম থাকায় এই ভাটি সামান্য বৃষ্টিতে পুণরায় খালে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা লোকদের এমন দায়িত্বহীনতার কারণে ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়েছে ভোক্তভোগীদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সুলতানপুর গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন- সামান্য টাকার কাছে গ্রামবাসীর স্বার্থকে যারা বিসর্জন দিতে পারে-তাদের ব্যাপারে কিন্তু মন্তব্য করতেও ঘৃণা হয়।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য (সংরক্ষিত) ও প্রজেক্ট চেয়ারম্যান ফাতেহা বেগম বলেন- প্রকল্পের বরাদ্ধ বিষয়টি অবগত থাকলেও কাজের বিষয়ে কিছুই জানি না। চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে ফোন দিলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আকবর আলী বলেন- ‘কাজ কিভাবে হচ্ছে আমি জানি না। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সাহেব ভালো বলতে পারবেন।
উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ এমরান উদ্দিনের মোবাইলে কল দিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- শ্রমিক সংকটের কারনে এক্সেভেটর দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মন্তব্য জানার জন্য ফোন করা হলেও তিনি শনিবার ফোন রিসিভ করেন নি।