জানাগেছে, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার (২৬ জুলাই) আবেদনটির শুনানি করে ৫ আগস্ট পর্যন্ত উপনির্বাচনটি স্থগিতের আদেশ প্রদান করেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান লকডাউনে ভোটগ্রহণ স্থগিত চেয়ে আদালতে রিট করা হয়। রিটে করোনার কারণে ২৮ জুলাই ভোট গ্রহণ স্থগিত করে পুনরায় তারিখ নির্ধারণের আবেদন করা হয়।
সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর ২৮ জুলাই ভোটগ্রহণের তারিখ পরিবর্তন করতে আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের ছয় আইনজীবী ও ওই এলাকার সাত ভোটার।
আইনি নোটিশে বলা হয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে চলমান লকডাউনেও নির্বাচন স্থগিত রাখা সম্ভব নয়। অথচ সংবিধানের ১২৩-এর ৪ দফার শর্ত অনুযায়ী সিলেট উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সুতরাং ২৮ জুলাই অনুষ্ঠেয় নির্বাচন স্থগিত করা যাবে না বলে সিইসি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আইনের সঠিক ব্যাখ্যা নয়।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের উচিত চলমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি বিবেচনায় নিয়ে লকডাউনের সময় নির্বাচন না করা এবং ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্য যেকোনো দিন ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করার আবেদন করা হয় রিটে।
নোটিশে বলা হয়, ৩ লাখ ৫২ হাজার ভোটারের আসনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠান সরকারের বর্তমান লকডাউন নীতির বিরোধী। উল্লেখ্য চলতি বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য সদস্য আলহাজ্ব মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। তাঁর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এবং ২৮ জুলাই নির্বাচনের ভোট গ্রহনের দিন ধার্য্য করা হয়েছিল।