।।মোঃ রেজাউল করিম মৃধা, লণ্ডন থেকে।।
বৃটেনে শিক্ষাকে সব সময় প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে। এমনকি এই কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও শিক্ষা যেন ব্যাহত না হয় সেজন্য সবধরনের ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। যখনই সুযোগ হয়েছে তখনই সরাসরি ক্লাস নিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। সরাসরি ক্লাস না নিলেও অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হয়েছে। অনলাইনে ক্লাস নিয়েও পড়াশুনা অব্যাহত রেখেছ।
ইউনিভার্সিটি গুলিতেও অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নিয়ে লেখাপড়া চালু রেখেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা সরাসরি ক্লাস না করলেও অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নিয়ে পরীক্ষাও দিয়েছে।
কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসকালীন সময় বৃটেনে আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট কমেছে শতকরা ৬ পারসেন্ট। তবে ইইউ এর স্টুডেন্টের সংখ্যা বেড়েছে শতকরা ১৪ পারসেন্ট।
ডিপার্টমেন্ট ফর এডুকেশন এর স্পোকস পার্সন বলেন,” ইইউ স্টুডেন্টদের জন্য বাৎসরিক ফিস শতকরা ৫০% ডিস্কাউন্ড করা হয়েছে। যাতে ইইউ বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার সুযোগ পান।
বৃটিশ সরকার চাচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিবছর ৬০০,০০০ স্টুডেন্টদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করা বা বৃটেনে লেখাপড়ার সুযোগ সৃস্টি করা। এজন্য ইইউ স্টুডেন্টদের ও উৎসাহিত করা হচ্ছে যাতে ইইউ স্টুডেন্টরা উৎসাহিত হন। সরকারের উচ্চশিক্ষা পলিসিতে প্রতিবছর বিদেশী শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ১.৭ বিলিয়ন পাউন্ড এবং জাতীয় ভাবে বাজেট ২৮.৮ বিলিয়ন পাউন্ড।
বৃটেনের শিক্ষা ব্যবস্থা সারা বিশ্বে সমাদৃত ও সমান ভাবে গ্রহণযোগ্য। এই জন্য বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রথম পছন্দ বৃটেন। প্রতিবছর বিশ্বের মেধাবী শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃটেনের ইউনিভার্সিটি গুলিতে স্টাডি করার জন্য আসেন। বৃটিশ সরকারও প্রতিবছর বিদেশী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি নিয়ে একদিকে তাদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে অপর দিকে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হয়।
কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারিতে শিক্ষা ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সামান্য কমলেও ইইউ শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সাথে ইইউ শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি শতকরা ৫০% ডিসকাউন্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৃটিশ এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট।
সূত্র:- বিবিসি।