বৃটেন এক ক্লান্তিকাল অতিক্রম করছে। দিন দিন প্রতিটি সেক্টরেই সমস্যা বাড়ছে। শুধু ড্রাইভার এবং লরিড্রাইভারের সংকট না – নার্স , ডাক্তার এবং ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কারদের ও সংকট চলছে কোভিড-১৯ এর প্রথম দিন থেকেই। কোভিডের চিকিৎসা দিতে গিয়ে অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন বহু ডাক্তার , নার্স এবং ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কাররা। নিজেদের জীবন বাজি রেখে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট ছিলেন তাঁরা। বৃটেনের প্রতিটি মানুষ তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
তবে ডাক্তার, নার্স এবং ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাদের সংকট দিন দিন বেড়েই চলছে। বর্তমানে এই সংকট আরো বেড়েছে। এর ফলে বৃটেনের প্রায় প্রতিটি হাসপাতালে রোগীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। চিকিৎসায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের প্রাধান্য দেওয়ার ফলে অন্যান্য রোগীরা হচ্ছেন উপেক্ষিত। রোগীদের অপেক্ষার পালা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে।
ক্যান্সারের মত সিরিয়াস রোগীরাও দীর্ঘ অপেক্ষার পর তাদের কাঙ্খিত স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেন না। যার ফলে অনেক রোগী ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে চলে যাচ্ছেন।
এদিকে করোনাভাইরাস মহামারিতে জিপিতে সরাসরি রোগী না দেখে টেলিফোনে সেবা দেওয়ার ফলে ভাষাগত সমস্যার কারণে ভুল ঔষধ সেবনের ও অভিযোগ রয়েছে।
এই যখন অবস্থা তখন গবেষকরা বলছেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারনে লকডাউন দিতে বৃটেন অনেক দেরি করেছে যার কারনে অনেক প্রাণ চলে গেছে অকালে।